ইথিওপিয়ায় সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ

ইথোপিয়ার একটি শরনার্থী শিবির ( ফাইল ছবি)

সংঘাতের সরাসরি প্রভাব হিসেবে ইথিওপিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ অব্যাহতভাবে খাদ্য নিরাপত্তার চরম অভাব ও প্রচন্ড ক্ষুধার সম্মুখীন। এমনকি শান্তিপূর্ণ সময়েও, তিন বছরের প্রবল খরা ও ফসলের অপ্রতুল ফলনের কারণে, পীড়িত এলাকার মানুষের খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার ও আঞ্চলিক বাহিনীর সাথে টিগ্রায় পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্ট বা টিপিএলএফ এর সংঘাতের কারণে, আগে থেকেই খারাপ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়ে, সেটি একটি মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, টিগ্রায়-এর ৫৫ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন।

সেই কারণে ইথিওপিয়ার সরকার এবং টিগ্রায় ও আফার এর আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জন্য এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা সংঘাতের অবসানের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং তাতে জাতিসংঘ প্রণোদিত হয়েছে। এর ফলে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোতে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করাও সম্ভব হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক বন্দি এবং আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিয়েছেন, এবং, টিগ্রায়-এর কর্তৃপক্ষের সাথে তিনিও সহিংসতার সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। একই সময়ে, টিগ্রায় এর বাহিনীগুলো আফার থেকে তাদের বেশিরভাগ সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

তবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা “এই প্রচেষ্টাগুলোর গতি বৃদ্ধি করে, সেগুলোকে সমুন্নত রাখে এবং সেগুলোর বিস্তার ঘটায়, এটা নিশ্চিত করতে, যেমনটা প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, যে অবিলম্বে, টেকসইভাবে, এবং নির্বিঘ্নে এই সংঘাতের শিকার ইথিওপিয়ার সকলের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই…সুযোগের ফায়দা নিয়ে যাতে আলোচনার মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে অগ্রসর হয়, যার মধ্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, এবং টিগ্রায়তে যাতে জরুরি ভিত্তিতে আবশ্যক পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করা হয় তার আহ্বান জানাই।”

এই জীবনরক্ষাকারী উদ্যোগে অব্যাহতভাবে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত রয়েছে এবং একটি ঐক্যবদ্ধ, উন্নয়নশীল, এবং সার্বভৌম ইথিওপিয়ার প্রতি এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে, যাতে করে দেশটির ভাঙন সংস্কার করা যায় এবং ইথিওপিয়ার সকল মানুষের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা প্রদান করা যায়।

[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে]