কম্বোডিয়ায় আরও কিছু অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ

ক্যাম্বডিয়ায় দেশব্যাপী ২৮টি কারাগারে প্রায ১৫,০০০ বন্দি রয়েছে। ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টি-কে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দিচ্ছে। সাংবিধানিক কাউন্সিল একটি কথিত নথিপত্র সংক্রান্ত ইস্যুতে দলটিকে নিবন্ধন না করার সিদ্ধান্তকে বাতিল করতে অস্বীকার করেছে।

ক্যান্ডেললাইট পার্টির একজন মুখপাত্র কিমসুর ফিরিথ বলেছেন, তিনি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের জন্য "দুঃখ প্রকাশ করছেন" কারণ এটি দেশব্যাপী ব্যালট বাক্সে দলের সমর্থকদের সত্যিকারের পছন্দকে অস্বীকার করে। কিমসুর ফিরিথ আরও বলেন, “নির্বাচন থেকে (ক্যান্ডেললাইট পার্টি ‘র অনুপস্থিতির অর্থ হল জনগণের কণ্ঠস্বর বাতিল করা। এই ধরনের পদক্ষেপ একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে কখনই ঘটে না।”

পররাষ্ট্র দফতরের মানবাধিকার বিষয়ক সর্বসাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, কম্বোডিয়ার স্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলি "বৈধকৃত বৈষম্য, বেছে বেছে আইনের প্রয়োগ, ভয় দেখানো এবং পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া কভারেজের শিকার হয়েছে৷ এই কারণগুলি [কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি]‘র রাজনৈতিক ক্ষমতার কার্যত একচেটিয়াকরণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।"

ক্যান্ডেললাইট পার্টি হল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির অঘোষিত উত্তরসূরি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে হুন সেনের পার্টির কাছে তারা একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। ভোটের কয়েক মাস আগে কম্বোডিয়ার সুপ্রিম কোর্ট এটি ভেঙে দেয়। ফলস্বরূপ, ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ১২৫টি আসনের সবকটাই জিতেছিল এবং দেশটিকে একটি বাস্তব এক-দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, কম্বোডিয়ার কারাগারে কমপক্ষে ৩৯ জন বিরোধী রাজনীতিক বন্দী রয়েছেন।

পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, "বিরোধী দল, স্বাধীন মিডিয়া এবং সুশীল সমাজকে লক্ষ্য করে রচিত আইনি পদক্ষেপ, হুমকি, হয়রানি এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপরাধমূলক অভিযোগগুলি বহুদলীয় গণতন্ত্র হিসাবে বিকাশের পথে কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করে দেয়।"

মুখপাত্র মিলার বলেন,"তদনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র জুলাইয়ের নির্বাচনে সরকারী পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে না ; অনেক স্বাধীন কম্বোডিয়ান এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মূল্যায়ন করেন যে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একাংশ অবাধ নয় সুষ্ঠুও নয়।আমরা কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষকে দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি যে তাদের নাগরিকরা যাতে কম্বোডিয়ার সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ন্যায্য, বহুদলীয় গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই সংগঠনের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সহ অবাধে তাদের মানবাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করার হোক।"

এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত একটি সম্পাদকীয়।