যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারী মন্ত্রী, স্টিফেন বিগান যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ফোরামে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্ভবনা নিয়ে আমি এতটা আশাবাদী কখনো হতে পারিনিI যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের আওতায় পড়ে অন্যান্য বিষয়সহ ,প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা,মিলিত আইন প্রয়োগ বিষয়ে সহায়তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক, জ্বালানি অংশীদারিত্ব এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাI তবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সহযোগিতার আওতায় পড়ে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক উদ্যোগে আমেরিকান ও ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থাগুলির যৌথ প্রয়াসI
সহকারী মন্ত্রী বিগান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সর্বশেষ নিরাপত্তা জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেনI তিনি বলেন, তাঁর কথায়, যুক্তরাষ্ট্র আশা করতে পারে না যে, শীতল যুদ্ধের হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব জোটের ক্ষমতা পুনরুজ্জীবিত করা ছাড়া,এই হুমকি তারা মোকাবেলা করতে পারবে I তিনি বলেন, তাঁর কথায়, দীর্ঘ সময় ধরে এই অংশীদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে, আমাদের কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটাতে হবে, আজ ও কালকের ভৌগোলিক রাজনীতির বাস্তবতায়" I
সহকারী মন্ত্রী বেগান বলেন, সর্বশেষ নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের আওতায়, ভারতের মতো দেশকে, তাদের নিজের নিরাপত্তার প্রস্তূতি রাখতে হবে I সেই লক্ষ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিজস্ব সর্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং সমগ্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলে ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়াস নেবেI
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৪টি গণতান্ত্রিক স্তম্ভ, যারা নিজেদের মিলিত স্বার্থ ও মূল্যবোধ ভাগাভাগি করে থাকেI সহকারী মন্ত্রী, স্টিফেন বেগান বলেন, তাঁর কথায়, আমরা দুটি দেশের সেই দূরদৃষ্টির পাশে থাকবো, যা নিশ্চিত করবে যে, আমাদের দেশ, তথা এই অঞ্চলের বৈচিত্রময় দেশগুলি যেন, মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্রশান্তমহাসাগরীও এলাকায় সার্বভৌম ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে সাফল্য অর্জন করতে পারিI
তবে তিনি হুঁশিয়ার করে দেন যে, এই অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী তৎপরতার আলোকে এই চিন্তাধারা কিন্তু পূর্বে নির্ধারিত কোনো উপসংহার নয় i সহকারী মন্ত্রী বেগান বলেন, চীনের হুমকি মোকাবেলায় এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় দেশগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, ভারত ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বেI
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ভারতে সঙ্গে বিদেশী সামরিক বিক্রয় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভাগাভাগির আদান-প্রদান শুরু করেছে; তবে আরো অনেক কিছু করার প্রয়োজন থাকবে I যেমন দুটি দেশের নিয়মিত মহড়া ও আদান প্রদান, সাধারণ স্যাটেলাইট প্রতিরক্ষা এবং সহ-উন্নয়নের মাধ্যমে এবং সফটওয়্যার প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষার ক্ষমতা জোরদার করতে হবেI
সহকারী মন্ত্রী বেগান বলেন, বৃহত্তর সাফল্য অর্জনে আমাদের দুটি দেশ নিবেদিতI তবে আমাদেরকেই সেই গতিকে তরান্নিত করতে হবেI
Your browser doesn’t support HTML5