Accessibility links

Breaking News

আমেরিকার দেশগুলোর গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ


ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর বক্তব্য দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। (ছবি- রড্রিগো বুয়েন্দিয়া/ এএফপি)
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর বক্তব্য দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। (ছবি- রড্রিগো বুয়েন্দিয়া/ এএফপি)

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সাম্প্রতিক সময়ে ইকুয়েডর সফরে গিয়ে ঐ গোলার্ধের যে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অংশীদার হবে তাদের জনগণের গনতান্ত্রিক সক্ষমতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনটি ক্ষেত্রে রূপরেখা দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্নীতি।

তিনি বলেন "বৈশ্বিক জিডিপি'র আনুমানিক ৫ শতাংশ ব্যয় হয় দুনীতিতে। এটা প্রবৃদ্ধিকে বাধা দেয়, বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে, বৈষম্য গভীর করে। তবে সম্ভবত এর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে সরকারের প্রতি নাগরিকদের আস্থা”।

ব্লিংকেন বলেন, "অতএব কিভাবে আরও কার্যকরভাবে দুনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়,যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা অবৈধ অর্থায়নের বিষয়টি খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করছি, চুরি করা সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করছি, যারা চুরি করে ও বেনামে লুকিয়ে রাখে, তাদের জন্যে তা কঠিন করে তুলছি"।

দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অসামরিক লোকজনদের নিরাপত্তা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "ভালো ফলাফলের লক্ষ্যে, যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতার মূল কারণগুলোর দিকে প্রতি গুরুত্ব আরোপ করছে”।

তিনি বলেন, "আমরা অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারিত করার জন্য নানা কাজ করছি, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যে, যারা আর কোন বিকল্প নেই ভেবে অবৈধ কার্যকলাপে আকৃষ্ট হতে পারে। আমরা মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং মাদক আসক্তি থেকে যারা সুস্থ হবার চেষ্টা করছে তাদের জন্য বিনিয়োগ বাড়াচ্ছি। আর এই দুটি কাজ করা হচ্ছে অবৈধ মাদক, আমাদের সম্প্রদায়গুলোতে হানা দিয়ে যে গভীর ক্ষতি করে তা কমাতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যপক সহিংসতা এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ হ্রাসের যে প্রয়োজনীয়তা তা কমাতে"।

দুর্নীতির মামলার তদন্ত ও বিচারে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখা প্রসিকিউটর এবং বিচারকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের জনগণ যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবেলা করতে আমাদের গণতন্ত্রগুলো কতোটা শক্তিশালী সেদিকে গুরুত্ব দেয়া"। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমের মান শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার পর্যাপ্ত সুযোগ সম্প্রসারণ করা এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সুযোগ প্রদান করা।

২০২০ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয় অঞ্চলে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। পালাক্রমে বেসরকারী খাতে আরও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, "গণতন্ত্র ঠিক করতে পারে না, এমন কোন হুমকি নেই। এবং যতোদিন পর্যন্ত আমাদের সমাজ, মানুষের জন্য ভেতর থেকে পদ্ধতির উন্নয়নের সুযোগ দেবে, সে পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, গণতন্ত্র কেবলমাত্র টিকে থাকবে না, বিরাজ করবে"।

XS
SM
MD
LG