Accessibility links

Breaking News

দারিদ্র ও অসমতা দূর করতে, মেয়েদের শিক্ষাদান জরুরি


দারিদ্র ও অসমতা দূর করতে, মেয়েদের শিক্ষাদান জরুরি
দারিদ্র ও অসমতা দূর করতে, মেয়েদের শিক্ষাদান জরুরি

দারিদ্র ও অসমতা থেকে জনগণকে দূর করতে, মেয়েদের শিক্ষাদান হতে পারে অন্যতম প্রধান অবলম্বন, যা দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি রচনা করতে পারেI

দারিদ্র ও অসমতা থেকে জনগণকে দূর করতে, মেয়েদের শিক্ষাদান হতে পারে অন্যতম প্রধান অবলম্বন, যা দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি রচনা করতে পারেI শিক্ষায়ণে রত প্রতিটি মেয়ে ১০ শতাংশ হারে ভবিষতের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলেI একটি শিশু যার মা, পড়তে জানে, সে শিশুটির ৫ বছরের উর্ধে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫০% বেশি, ১০০ ভাগ স্কুলে যাওয়ার এবং ৫০ শতাংশের বেশি রোগ থেকে মুক্ত থাকার সম্ভাবনা থাকেI

তথাপি, কভিড মহামারীর আগে, যে ১৩ কোটি ২০ লক্ষ মেয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, তা তারা যায় নিI

এর অনেক কারণ রয়েছে এবং একেকটি দেশে তা একেক রকমের I এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দারিদ্র, লিঙ্গভিত্তিক অসমতা ও বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এবং শিশুদের জোরপূর্বক বিবাহI সম্প্রতি সর্বোচ্চ মহামারীকালীন সময়ে ১.৬ বিলিয়ন শিশুর শিক্ষাদান কর্মসূচি ব্যাহত হয়I ইউনেস্কো'র হিসাব অনুযায়ী, ১০ লক্ষ ১০ হাজার মেয়ে, কভিড মহামারীর পরে স্কুলে ফিরবে নাI

সেকারণেই, মে মাসের গোড়াতে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃসরকারী সংস্থা, জি-৭ মেয়েদের শিক্ষা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়, যেখানে নিম্ন ও মধ্যবিত্য আয়ের দেশগুলির জন্য দুটি বিশ্বজনীন উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির কথা জানানো হয়I প্রথম লক্ষ্যটি হচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যে, আরো ৪ কোটি অতিরিক্ত মেয়েকে স্কুলে পাঠানোI দ্বিতীয় লক্ষ্যটি হচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যে নিশ্চিত করা যে, আরো ২ কোটি মেয়ে ১০ বছরের মধ্যে যেন পড়তে পারেI

ইউ এস এইড'র প্রশাসক, সামান্থা পাওয়ার, যিনি সম্প্রতি জি-৭ বিদেশ ও মন্ত্রী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জি-৭ 'র শিক্ষা ঘোষণাকে স্বাগত জানায়I তিনি বলেন, আমরা যদি এসব মেয়েদের স্কুলে আনতে না পারি, তবে বিশ্বের একটি প্রজন্মকে হারানোর ঝুঁকি থাকবেI

তিনি বলেন, তাঁর কথায়, জন্ম থেকে যৌবন প্রাপ্তি পর্যন্ত, মেয়েদের প্রতিটি দিনের উন্নয়নে আমেরিকার সহায়তার বিশেষ ভূমিকা রাখছে, যে সহায়তা তাদের বিকাশের প্রতিটি স্তরে তাদের চাহিদার কথা ভেবে দেয়া হয়ে থাকেI তিনি বলেন তাঁর কথায়, সরকারের প্রতিটি স্তরে মেয়েরা যেন শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবতী হয়, ভয়-ভীতি,সহিংসতা ও জীবনের প্রতি স্তরে বৈষম্য থেকে মুক্ত থাকে, তার উন্নয়ন নিশ্চিত করাI

প্রশাসক পাওয়ার বলেন, কতিপয় বিনিয়োগের সুফল আসে যখন আমরা দেখি যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী সহায়তা কাজের মাধ্যমে মহিলাদের পরিপূর্ণ সম্ভাবনার সুযোগ করে দেয় এবং মহিলাদের সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত হয়I তিনি বলেন, মেয়েরা ১০ শতাংশ বেশি স্কুলে গেলে, দেশের মোট উৎপাদন ৩ শতাংশ বাড়তে সাহায্য করেI আমাদের বহু দশকের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে, আমরা একত্রিত হয়ে মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি, যাতে নিশ্চিত হয় যে, আমরা সম্ভাবনাময় ও বিকশিত একটি প্রজন্মকে না হারাইI

XS
SM
MD
LG