Accessibility links

Breaking News

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন


ফাইল - রোহিঙ্গা শিশুরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পৌছে থাইনখালি শরনার্থী শিবিরে খাদ্য পাবার জন্য ঠাসাঠাসি করে রয়েছে ২১ অক্টোবর ,২০১৭ -
ফাইল - রোহিঙ্গা শিশুরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পৌছে থাইনখালি শরনার্থী শিবিরে খাদ্য পাবার জন্য ঠাসাঠাসি করে রয়েছে ২১ অক্টোবর ,২০১৭ -

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার—ইউএনএইচসিআর ২৯ মার্চ রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের সমর্থনে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান ২০২২ চালু করেছে। বাংলাদেশের পুর্বাঞ্চলের শিবিরে বসবাসকারী প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘ ৮৮ কোটি ১৯ লাখ (৮৮১ মিলিয়ন) ডলারের বেশি অনুদান চেয়েছে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ২৯ মার্চ ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ, বার্মা ও অন্য অঞ্চলে বার্মিজ সামরিক বাহিনীর গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং বার্মার রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযানের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তায় ১৫ কোটি ২০ লাখ (১৫২ মিলিয়ন) ডলার দেবে। এক লিখিত বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন।

২০১৭ সালের অগাস্টে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে নিরাপদে পালিয়ে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ঘোষিত ১৫ কোটি ২০ লাখ (১৫২ মিলিয়ন) ডলারের অনুদনাসহ ১৭০ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে।

সর্বশেষ এই অর্থের ১২ কোটি ৫০ লাখ (১২৫ মিলিয়ন) ডলারেরও বেশি কেবল বাংলাদেশের কর্মসূচিগুলোর জন্য নির্ধারিত। কিছু অর্থ আমাদের মানবিক সহায়তাকারী অংশীদারদের বাংলাদেশে অবস্থানকারী ৯ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানে সাহায্য করবে। এটি সংকট দ্বারা প্রভাবিত বাংলাদেশের স্থানীয় আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের ৫ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি সদস্যকে সহায়তা প্রদান করবে।

কিছু অর্থ পরিবারগুলোর খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানির সহজলভ্যতা এবং রোগের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদানে ব্যয় হবে। এটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবাধিকার ও কল্যাণে সহায়তা করবে, দুর্যোগের প্রস্তুতি জোরদার করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

একইভাবে, আমরা বুঝি বাংলাদেশে নিরাপদ শরণার্থী শিবির তৈরির জন্য শিক্ষা এবং আয়-উৎপাদনমূলক কার্যক্রম সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। সে কারণে শিশু ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কিছু তহবিল দেওয়া হবে।

“যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে যে, বাংলাদেশ ও তার জনগণ শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানের এক বিশাল দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে”, মুখপাত্র প্রাইস বলেছেন। “আমরা বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা এবং বার্মার অভ্যন্তরীণ জনগণের সঙ্গে এই সংকটের সমাধান খোঁজার জন্য কাজ করছি। যার মধ্যে রয়েছে বার্মায় ইতিবাচক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ টেকসই প্রত্যাবর্তন এবং একীভূতকরণ”।

[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে]

XS
SM
MD
LG