Accessibility links

Breaking News

ইরানের সঙ্গে বিবাদ নিরসনে সচেষ্ট থাকবে যুক্তরাষ্ট্র


একজন চিত্রগ্রাহক জেসিপিওএ–র বৈঠেকর স্থান ভিয়েনায় হোটেল প্যালে কোবারগের সামনে । ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২ ( ফাইল ছবি)
একজন চিত্রগ্রাহক জেসিপিওএ–র বৈঠেকর স্থান ভিয়েনায় হোটেল প্যালে কোবারগের সামনে । ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২ ( ফাইল ছবি)

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি ‌অ্যানুয়াল থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট বা বার্ষিক হুমকি পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবদেনে বলা হয়েছে যে, “ইরান তার ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারের কর্মকান্ডের মাধ্যমে আঞ্চলিক হুমকি হয়ে থাকবে।”

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষাবলম্বনকারী সংগঠন এবং সিরিয়ার দুর্বৃত্ত শাসককে ইরানের সমর্থন এবং সেই সঙ্গে দেশটির আগ্রাসী সাইবার হামলায় সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীবৃন্দের, মিত্রদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। উপরন্তু, ইরান তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। তারা পারমাণবিক চুক্তির নির্ধারিত সীমার বাইরে আবারও কিছু পারমাণবিক কার্যক্রম শুরু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রশাসন ২০১৮ সালে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ নামে পরিচিত চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।

গত বছর পুরোটাই, যুক্তরাষ্ট্র জেসিপিওএ পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুক্তিতে ফেরার ব্যাপারে ইরানের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা অব্যাহত রেখেছিল। যেমনটি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, “ইরানের কাছ থেকে আমরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই বা ভবিষ্যতে হবো—হোক তা সে প্রক্সি সংগঠনগুলো বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সর্মথন বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র র্কমসূচি—ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকলে সেসব মোকাবিলা করা আরও কঠিন হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে আমরা প্রথম যে কাজটি করতে চাই, তা হলো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করা যাতে করে এ ধরনের চ্যালেঞ্জে নস্যাৎ করা সম্ভব হয়।

পারমাণবিক আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় বেশ কয়েকটি বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ফলে উভয়পক্ষ আলোচনা সাময়িক স্থগিত রেখেছে। এক সংবাদ সম্মলেন মুখপাত্র প্রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জেসিপিওএ–র পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুক্তিতে প্রত্যাবর্তনে প্রস্তুত। প্রাইস ঘোষণা করেন, “আমরা জেসিপিওএ ছাড়া অন্য সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বৃহত্তর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্যও প্রস্তুত, যদি [ইরানরিা] অন্য দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে এই আলোচনার সুযোগকে ব্যবহার না করে, তাহলে আমরা নিশ্চিত যে, আমরা খুব দ্রুত জেএসপিওএ নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব। সেই সঙ্গে আবারও চুক্তিটির বাস্তবায়ন শুরু করতে পারব। ইরানকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে”।

মুখপাত্র প্রাইস জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দুই ধরনের পরিস্থিতির জন্যেই সমানভাবে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “জেসিপিওএ মেনে দুই পক্ষই চুক্তিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারে কিংবা পারস্পরিক প্রত্যাবর্তন না হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে , তবে আমরা প্রথমটি বেছে নেব যাতে করে জেসিপিওএ কার্যকর করা এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যাচাই করা ও স্থায়ী সীমা আরোপ করা যায় । আমরা সে রকম সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব কি না, সেটা ইরানের ওপর নির্ভর করছে”।

[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে]

XS
SM
MD
LG