সুশীল সমাজের নেতৃত্বে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক শীর্ষ বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “সকল মানুষের, সকল স্থানে ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষা ও তা এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর ও চিরন্তন এক প্রতিশ্রুতি রয়েছে”।
তিনি বলেন,“ধর্মীয় স্বাধীনতা মানুষের অধিকার। আমরা জানি,মানুষ যখন মুক্তভাবে তার ধর্ম চর্চা করতে পারে এবং তাদের নিজেদের সমাজের সাফল্যের জন্য সম্পুর্ণ অবদান রাখতে পারে, তখন পৃথিবীটা অনেক বেশি নিরাপদ ও স্থিতিশীল হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ অন্যতম যে উপায়ে বিদেশে ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতার অগ্রগতি সাধন করে তা হলো অফিস অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের মাধ্যমে। ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ রাশেদ হোসেন সহযোগিতা, পারস্পরিক মর্যাদা এবং অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নিতে বিদেশের সরকার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য, সুশীল সমাজের প্রবক্তা এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছেন।
মার্চ মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটি নির্ধারণ করেন যে বর্মার সামরিক সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটিয়েছে। রোহিঙ্গারা প্রধানত মুসলিম। তিনি বর্মায় অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীগত ও ধর্মীয় সংখালঘুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার বিষয়টিও নির্ধারণ করেন।
আরো এক ভাবে পররাষ্ট্র দপ্তর ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে,আর সেটি হলো আন্তর্জতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে তার বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে। এ বছরের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে ইহুদিবাদের বিরোধীতা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বৃদ্ধি,এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ও যারা কোন ধর্মেই বিশ্বাস না করার বিষয়টি বেছে নিয়েছেন তাদের বিরু্দ্ধে আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন জোর দিয়েই বলেছেন, যেখানেই হুমকি, হামলা ও বৈষম্যের ঘটনা ঘটুক না কেন পররাষ্ট্র বিভাগ এ ব্যাপারে সোচ্চার হবে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে অংশীদার হিসেবে সুশীল সমাজের সহযোগিতা চাইবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন,“সুশীল সমাজে আমাদের অংশীদারদের ছাড়া আমরা এই কাজ করতে পারিনা। তাঁরা তাদের কন্ঠকে তুলে ধরেন যারা নির্যাতনের শিকার। তারা বাস্তবক্ষেত্রে নিপীড়ন ও অত্যাচারের দিকে আমাদের চোখ খুলে দেন এবং তারা নিজের বিশ্বাস অনুশীলন করতে সমর্থন, আশ্রয় ও নিরাপদ জায়গা প্রদান করেন কিংবা যারা অত্যাচারের শিকার তাদের সোচ্চার হবার জায়গা করে দেন”।
সুশীল সমাজের যারা এই ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আহ্বান করেছেন এবং এতে যোগ দিয়েছেন তাদের প্রতি,ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে “(যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে)এবং পরস্পরের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে, বিশেষত ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আহ্বান জানান। তিনি বলেন এর অপব্যবহার ও অগ্রগতি দু’টিই অব্যাহত ভাবে তুলে ধরুন। তিনি আরও বলেন,“এবং এই অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের মতো সরকাগুলিকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন করুন। আমাদের সমাজ এবং আমাদের দেশ (সুশীল সমাজের) প্রচেষ্টায় আরও ভাল থাকবে।
এই ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি সম্বলিত সম্পাদকীয়