Accessibility links

Breaking News

২০২২ সালের কূটনৈতিক বিজয়গুলো


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ( ফাইল ফটো)
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ( ফাইল ফটো)

বছর শেষের এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ২০২২ সালের কূটনৈতিক সাফল্যের সবচেয়ে ফলপ্রসূ চারটি ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেন।

প্রথমত, তিনি উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র “বিশ্বকে একত্রিত করেছে এটি নিশ্চিত করতে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ যাতে একটি কৌশলগত ব্যর্থতা হয়।”

“২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা ডজনকয়েক মিত্র ও সহযোগীদের একসাথে করেছি, ইউক্রেনের মানুষের জন্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করতে যখন কিনা তারা তাদের দেশের গণতন্ত্র, সেটির সার্বভৌমত্ব, ও সেটির স্বাধীনতার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সম্মিলিত সহযোগিতা – যার মধ্যে এখন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ১৮৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তাও রয়েছে…সেগুলো ইউক্রেনের যোদ্ধাদের পাল্টা লড়াই চালিয়ে যেতে, তাদের মানুষজনকে মুক্ত করতে, তাদের আরও বেশি ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে সুযোগ করে দিয়েছে।”

দ্বিতীয়ত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “(পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না বা) গণপ্রজাতন্ত্রী চীন বিষয়ে আমরা আমাদের মিত্র ও সহযোগীদের সাথে কৌশলগত অভিন্ন অবস্থানে আসার গতি বৃদ্ধি করেছি।”

“পিআরসি কর্তৃক উপস্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে আমি মে মাসে আমাদের কৌশল নির্ধারণ করি: আমাদের দেশের ভেতর আমাদের শক্তির ভিত্তিগুলোতে বিনিয়োগ করা; আমাদের সহযোগী ও মিত্রদের সাথে জোটবদ্ধ হওয়া; চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করা যাতে করে আমরা আমাদের স্বার্থগুলো রক্ষা করতে পারি এবং ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি।”

এছাড়াও, তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং শিনজিয়াং ও তিব্বতে পিআরসি’র মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা অব্যাহত রাখতে ও যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয়ে নিজেদের অঙ্গীকারে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা ঐক্যবদ্ধ।

তৃতীয়ত, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, জ্বালানী ও পরিবেশ, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে সমাধান প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র জোট তৈরি করেছে।

সবশেষে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “শান্তির উন্নয়নে এবং সংঘাত প্রতিরোধ ও নিরসনে আমরা আমেরিকান কূটনীতির শক্তি ব্যবহার করেছি”।

“ইসরাইল, মরক্কো, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও মিসর এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে মিলে আমি ঐতিহাসিক নেগেভ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করি, যাতে করে মধ্যপ্রাচ্যে অন্তর্ভুক্তি ও স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে অগ্রসর হওয়া যায়। আমরা ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তির মধ্যস্থতা করেছি, যাতে করে সমুদ্রসীমা বিষয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান দ্বন্দ্বের অবসান হয়। আমরা আফ্রিকার নেতৃত্বে আলোচনায় সমর্থন দিয়েছি, যা ইথিওপিয়া ও টিগ্রায় এর বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছে। আমরা একটি কাঠামোগত চুক্তি তৈরিতে সহায়তা করেছি, যা কিনা সুদানকে আবারও বেসামরিক নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাবে। আমরা ইয়েমেন সংঘাতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে ও পরে তা বর্ধিত করতে সহায়তা করেছি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, সামনে ২০২৩ এর দিকে তাকিয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সহযোগীরা একটি স্বাধীন, মুক্ত, নিরাপদ, ও উন্নয়নশীল বিশ্ব গঠনে একসাথে কাজ করে যাওয়া অব্যাহত রাখবে।


[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে]

XS
SM
MD
LG