Accessibility links

Breaking News

মুক্তি ও গণতন্ত্রের স্বাধীনতাকে এগিয়ে নেয়া


বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র হাতে এলিনর রুজভেল্ট
বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র হাতে এলিনর রুজভেল্ট

জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার-পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছে মানবাধিকার অনুশীলন বিষয়ক কান্ট্রি রিপোর্ট। বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অগ্রগতি এবং বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যকে সমর্থন করছে এই রিপোর্ট। চলতি বছরে এই বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম বিষয়ক কার্যনির্বাহী সহকারী সেক্রেটারি এরিন বারক্লে বলেন, ১৯৪৮ সালে গৃহীত বিশ্বজনীন ঘোষণা ''ইতিহাসে এই প্রথমবার সূচিত হল, সকলের ও সর্বত্র…মানবাধিকারের অগ্রগতির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রসমূহের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের প্রচারকল্পে যে অভিন্ন বৈশ্বিক লক্ষ্য রয়েছে, তার অংশীদার হয়েছি আমরা।''

তিনি আরও বলেন,''আজ বিশ্বজুড়ে মানুষের হৃদয়ে এই সত্য ধ্বনিত হচ্ছে, অবিচার ও অত্যাচারের মুখে মানবাধিকার অনুশীলন, মৌলিক বাক-স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন, ধর্ম বা বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে কারা নির্ভীকভাবে সরকারগুলিকে আহ্বান করেছে।''

মানবাধিকার রক্ষাকারীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেই সঙ্গে রয়েছে প্রান্তিক গোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গেও, যাদের আইন অনুযায়ী সম-নিরাপত্তা দিতে প্রায়শই অস্বীকার করা হয় এবং হিংসার নিশানা বানানো হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও মেয়েরা; আফ্রিকান বংশোদ্ভুত, ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীসহ প্রান্তিক জাতি, জাতিগোষ্ঠী ও আদিবাসী গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

যেমনটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন উল্লেখ করেন যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের নৃশংসভাবে চালিয়ে যাওয়া যুদ্ধের দায় নিতে বাধ্য করতে হবে তাদের যারা বিবেকহীন নিগ্রহ করছে, এমনকি শিশুদের উপরও।

ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি বারক্লে জানান,''রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনে লাগাতার ও জঘন্য যে নিগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে তা ২০২২ সালে কোনও সরকার ও গোটা বিশ্বে অন্যান্য অনিষ্টকর কুশীলবদের দ্বারা সংঘটিত নিগ্রহের থেকে অনেক বেশি।''

বিশ্বজুড়ে তথ্যহীনতা ও অপ-তথ্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে আরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই মানবাধিকার রিপোর্ট যে অবদানটি রেখেছে তা হল, সত্য-তথ্যকে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসা। এই রিপোর্টের বার্ষিক প্রকাশনা এই বিষয়টিকেও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, মানুষের মর্যাদা ও স্বাধীনতার অগ্রগতি ঘটাতে বছরভর যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং সব দেশে এই ইস্যুতে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তাঁরা সহযোগী নাকি বিরোধী তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এমনটাই জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি বারক্লে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন তাদের বিদেশনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছেন মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে। যেখানে ও যেভাবেই নিগ্রহ হোক, তার উপর আলোকপাত করতে ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে মানবাধিকার রিপোর্ট পূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

এ ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়

XS
SM
MD
LG