রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা বিষয়ক অংশীদারিত্বকে প্রকাশ করে দিতে ও ব্যাহত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ অবধি, ইউক্রেনে পূর্ণ-মাত্রার আগ্রাসনের সময়, রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে শত শত ড্রোন পেয়েছে, যেগুলি তারা ইউক্রেনের অবকাঠামোকে আক্রমণ করতে এবং ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করতে ব্যবহার করেছে।
এখন, যেমনটি, কৌশলগত যোগাযোগ সংক্রান্ত জাতীয় নিরাপত্তা সমন্বয়কারী জন কার্বি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "রাশিয়া-ইরান সামরিক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে রাশিয়া দেশের অভ্যন্তরে একটি ইউএভি উৎপাদন কারখানা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ইরানের কাছ থেকে পাচ্ছে। এই স্থাপনাটি আগামী বছরের শুরুতে পুরোপুরি চালু হতে পারে।" মস্কোর পূর্ব দিকে সম্ভাব্য স্থাপনার নির্মাণস্থলের একটি চিত্র প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ।
প্রতিরক্ষাগত অংশীদারিত্ব একটি দ্বিমুখী রাস্তা। কৌশলগত সমন্বয়কারী কার্বি বলেছেন যে রাশিয়া তেহরানকে ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স এবং বিমান প্রতিরক্ষা সহ "নজিরবিহীন " প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। কার্বি বলেন, "এই কার্যকলাপগুলিকে প্রকাশ এবং ব্যাহত করার জন্য আমরা আমাদের সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করে চলেছি ; এর মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের সাথে এই বিষয়টি ভাগ করে নেওয়া এবং আমরা আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।"
৯ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, বিচার এবং রাজস্ব বিভাগ ইরানের ইউএভি-সম্পর্কিত কার্যকলাপ বিষয়ক শিল্পের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে কৌশলগত সমন্বয়কারী কার্বি এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন:
“আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে বেসরকারী সংস্থাগুলি, অবশ্যই, প্রযুক্তি সংস্থাগুলি বুঝতে পারছে তাদের পণ্যগুলি সম্ভবত ইরানের হাতে পড়তে চলেছে যা ড্রোন তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে। এই ক্ষেত্রে, এগুলি ইউক্রেনের নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে ব্যবহার করা হতে পারে। সুতরাং এই নির্দেশিকার উদ্দেশ্য ছিল যে, ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলি যাতে আমাদের উদ্বেগ বোঝে এবং তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির দিকে নজর রাখে তা নিশ্চিত করা।"
একটি বিবৃতিতে রাশিয়া এবং ইরানের ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতার বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড উল্লেখ করেছেন যে রাশিয়া এবং ইরানের পদক্ষেপগুলি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২২৩১ লঙ্ঘন করছে৷ এই প্রস্তাব "জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যসহ সকল দেশকে ইরান থেকে এই ধরনের অস্ত্র নিয়ে আসা নিষিদ্ধ করেছে।"
রাষ্ট্রদূত টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, “এই বিধিভঙ্গের তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলির আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। এমনটা করলে জীবন বাঁচতে পারে।... তিনি ঘোষণা করেন, "এই অস্থিতিশীল কার্যকলাপগুলির মুখোশ খুলে দিতে এবং একে ব্যাহত করতে অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।"
এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত একটি সম্পাদকীয়।