ইরানি কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচজন নাগরিককে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দী করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সিয়ামক নামাজি, মোরাদ তাহবাজ, এমাদ শার্গী এবং দুজন আমেরিকান যারা গোপনীয়তায় থাকতে চান। বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই অধিকাংশজন কারাগারে রয়েছেন। “একজনকে প্রায় আট বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে। প্রথমত কাউকে আটক করা উচিত ছিল না,” সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন ব্যাখ্যা করেছেন যে, খাদ্য ও ওষুধের মতো মানবিক খাতে ব্যয়ের জন্য ইরান তাদের বর্তমানে বাজেয়াপ্ত সম্পদের ৬০০ কোটি ডলার ব্যবহারের সুযোগ পাবে :
"যে ডলার ব্যবহারযোগ্য করা হচ্ছে—অর্থাৎ, ইরানের যে তহবিল তাদের ব্যবহার-উপযোগী করা হচ্ছে এখন—তা আসলে শুধুমাত্র মানবিক উদ্দেশ্যে ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে তাদের এই অর্থ ব্যবহারকে সহজতর করার একটি উপায় ; আবার, আমাদের নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে প্রথম দিন থেকে এগুলি মুক্ত করা হয়েছে। এই তহবিলগুলিতে সরাসরি প্রবেশাধিকার থাকবে না ইরানের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাৎপর্যপূর্ণ তদারকি ও নজরদারি থাকবে।
"ইরানের প্রতি আমাদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কিছুই পরিবর্তিত হয়নি," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন নিশ্চিত করেছেন:
“আমরা প্রতিরোধ, চাপ ও কূটনীতির এক কৌশল অব্যাহত রেখেছি। আমরা এটি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, ইরান যেন কখনই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন না করে। অন্যান্য বহু অপরাধের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন, এই অঞ্চলে অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের জন্য ইরান সরকারকে দায়বদ্ধ করেছি আমরা।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "আমরা স্পষ্ট বলেছি যে, ভবিষ্যত কূটনীতির জন্য জায়গা তৈরি করতে ইরানকে অবশ্যই দ্বন্দ্ব প্রশমন করতে হবে।"
“আমাদের বন্দিদের কারাগার থেকে বের করে গৃহবন্দিত্বে নিয়ে যাওয়ার সাথে আমাদের ইরান নীতির অন্যান্য দিকের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি কেবল আমাদের লোকেদের ব্যাপার।"
প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে যে, পাঁচজন আমেরিকান যারা কারাগার থেকে গৃহবন্দী হয়েছেন তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরে আসবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "বিশ্বজুড়ে আমেরিকানদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের দিকে নজর রাখার চেয়ে আমার কোন উচ্চ অগ্রাধিকার নেই। সারা বিশ্বে অন্যায়ভাবে বন্দিদের মুক্তি দিতে আমাদের দফতর যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।"
এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত একটি সম্পাদকীয়।