যুক্তরাষ্ট্র ইরান থেকে অন্যায়ভাবে আটক আমেরিকানদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কংগ্রেসকে জানান যে, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিধিনিষেধের আওতায় থাকা হিসেব-পত্র জব্দ করা ইরানের ৬০০ কোটি ডলার স্থানান্তরের অনুমোদন দিতে নিষেধাজ্ঞা ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
জব্দ করা সম্পূর্ণ অর্থ শেষ পর্যন্ত কাতারের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে, যা ইরান সরকার শুধুমাত্র মানবিক পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক কংগ্রেসের কাছে তাদের নথিপত্রে বলেছে যে, "ইরানে আটক যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচজন নাগরিকের মুক্তির সুবিধার্থে" এই অর্থ স্থানান্তর প্রয়োজনীয়।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র "বর্তমানে সেখানে আটক পাঁচ ইরানি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।"
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ইরানের জব্দ করা অর্থ ছাড় দিতে এই ছাড়পত্রে স্বাক্ষর জরুরি ছিল কেননা "কিছু সংখ্যক ব্যাংক… এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাথে সম্পর্কিত লেনদেনে অংশ নিতে চায়নি।"
তিনি বলেন, এখন "তহবিলগুলিকে তাদের চূড়ান্ত গন্তব্যে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে, যা হল কাতারের এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো।"
"যখন এই অর্থ কাতারের এই অ্যাকাউন্টগুলিতে পৌঁছাবে, তা যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের কঠোর তত্ত্বাবধানে রাখা হবে, এবং তারা এই অর্থ শুধুমাত্র মানবিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবে, এবং আমরা সেই তহবিলগুলির ব্যয় দেখার জন্য সতর্ক থাকব এবং প্রয়োজন হলে তা আবার জব্দ করার ক্ষমতা আমাদের আছে।"
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়কারী জন কার্বি, জোর দিয়ে বলেন যে, তহবিলগুলি ইরানের এবং "যার সুবিধাভোগী হবে ইরানের জনগণ… সরকার নয়।"
“ইরানের সরকার এই অর্থ স্পর্শ করতে পারবে না … এটা তাদের কাছে যাবে না; তারা এর চূড়ান্ত গন্তব্য নির্ধারণ করতে পারবে না এবং এ ব্যাপারে তাদের সরাসরি কোনও অধিকার নেই।"
সমন্বয়কারী কার্বি বলেন, ইরান ও তার নেতাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
“আমরা ইরান সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।আমরা বিদেশে তাদের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড, সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন, উপসাগরে সামুদ্রিক জাহাজে তাদের হামলা এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতি তাদের অব্যাহত সমর্থনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”
সমন্বয়ক কার্বি বলেন, "আমেরিকানদের ফেরত আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন, কখনও কখনও সত্যিই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার পড়ে এবং আমরা কোনও ধরণের ক্ষমা চাই না এই সত্যের জন্য যে এই পাঁচজন আমেরিকানকে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরত নিয়ে আসব।"
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)