বিশ্ব আজ যে বড় বড় প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে তার মধ্যে একটি হল বৈশ্বিক খাদ্য সংকট।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, "এই জরুরি অবস্থার জন্য ৭০ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। আমরা যে তাৎক্ষণিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছি এর প্রভাব হ্রাস করতে সমাধানের দিকে আমাদের প্রশাসনের মধ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা।
আমরা প্রতি বছর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাজেটের প্রায় ৫০ শতাংশ অর্থ প্রদান করে থাকি।
“আমি উল্লেখ করব যে অন্যান্য বড় বড় দেশগুলি যারা প্রায়শই শিরোনামে থাকে তারা তাদের বাজেটের ১ শতাংশেরও কম অর্থ প্রদান করে।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন কিন্তু “আমরা যদি এই নিকট-মেয়াদী চাহিদাগুলোর দিকে মনোযোগ দেইও, আমরা আসন্ন দশকগুলোতে আসা মৌলিক সমস্যাগুলো ভুলতে পারি না - বিশ্বের আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে খাওয়ানো যেখানে খাদ্য উত্পাদন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে৷"
প্রকৃতপক্ষে, ২০৫০ সালের মধ্যে খাদ্যের বৈশ্বিক চাহিদা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন উল্লেখ করেন।
“প্রেসিডেন্ট বাইডেন যাকে তিনি একটি বিবর্তন বিন্দু বলেন সে সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন।এটি এমন কিছু যা প্রতি ছয় বা সাত প্রজন্ম পরপর আসে এবং এর অর্থ হল যে: এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক পরিবেশের পরিবর্তনগুলি এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ, এত গভীর, যে আমরা এবং অন্যান্য দেশগুলি আজকে যে সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছি তা শুধু পরবর্তী কয়েক বছরের জন্যই না বরঞ্চ আগামী কয়েক দশকের জন্য ভবিষ্যতের রূপ নিবে। আর এটি এমন একটি মুহূর্ত যা প্রতি ছয় বা সাত প্রজন্মে একবার আসে।"
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে উর্বর মাটি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজিত ফসলের ওপর আমাদের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন,"সুতরাং, এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকান ইউনিয়ন, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা একত্রিত হয়েছে এবং আমরা ভিশন ফর অ্যাডাপ্টেড ক্রপস এন্ড সয়েলস - বা ভিএসিএস নামে কিছু উদ্যোগ চালু করেছি৷ যুক্তরাষ্ট্র ভিএসিএস-এর জন্য ১০ কোটি ডলার অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ - ৩ কোটি ডলার অভিযোজিত ফসলের জন্য, ৭ কোটি ডলার মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল-আইএফএডি-এর মাধ্যমে কাজ করে আমরা একটি নতুন বহু-দাতা তহবিল প্ল্যাটফর্মও প্রতিষ্ঠা করেছি যাতে তারা ভালো বীজ এবং মাটির জন্য অর্থায়ন করতে পারে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিষ্ঠাতা দাতা হওয়ায় আমি খুবই গর্বিত, এবং আজ রাতে আপনাদের কাছে আমার একটি খুব সাধারণ অনুরোধ রয়েছে: আমাদের সাথে যোগ দিন।আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য এই বিনিয়োগ করুন।আমি মনে করি আমাদের কাছে এখন থেকে শুরু করে পরবর্তী দশকগুলিতে একটি বড় রকমের পরিবর্তন আনার জোরালো সুযোগ রয়েছে।"
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)