যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যদি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে নেটো পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সাম্প্রতিক বৈঠক থেকে কোনও একটি স্পষ্ট ধারণা গ্রহণ করা যায়, তবে তা হল ইউক্রেনের প্রতি জোটটির শক্ত সমর্থন এবং প্রতিশ্রুতি।
“কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন যে আমরা পুতিনের নৃশংসতার দ্বিতীয় শীত মৌসুমে যে প্রবেশ করছি, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য নেটো মিত্রদের ইউক্রেনের সাথে অব্যাহতভাবে পাশে থাকা উচিত কিনা।
কিন্তু আজ নেটোর কাছে এর জবাব স্পষ্ট এবং অবিচল : আমরা ইউক্রেনকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাব এবং তা করা উচিত।
রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধ যেন কৌশলগতভাবে ব্যর্থ হয় তা নিশ্চিত করা আজ তেমনই গুরুত্বপুর্ণ যেমনটি ছিল যখন ক্রেমলিন প্রায় দুই বছর আগে ওই যুদ্ধ শুরু করে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “আমি ক্লান্তি বা পিছিয়ে পড়ার কোনও অনুভবের কথা শুনিনি— বরং, এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দৃঢ়সংকল্পের কথা শুনেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এবং এর একটি ভাল কারণ আছে। আমি মনে করি প্রতিটি মিত্ররাষ্ট্র স্বীকার করে যে এই ব্যাপারটি শুধুমাত্র সঠিক কাজ করার বিষয়ই নয়,এটি একটি নিজস্ব-স্বার্থের ব্যাপার, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও রয়েছে।”
“আমরা যদি রাশিয়ার মতো একটি দেশকে দায়মুক্তভাবে অন্য দেশের সীমানা জোর করে পরিবর্তন করার , অন্য দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ ও নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা করার অনুমতি দেই, যদি তা দায়মুক্তির সাথে ঘটে তবে এটি এমনই উন্মুক্ত বিষয় হবে তা হলে যে কোন জায়গার যে কোনও হবু আগ্রাসী তা থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। এই কারণেই এটা আমাদের জন্য, কিন্তু সেই সাথে টেবিলের চারপাশের প্রতিটি দেশের জন্যও, ইউক্রেনের সঙ্গে এবং তার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো এত গুরুত্বপূর্ণ।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেন, বেশিরভাগ নেটো সদস্য সহ ৫০টিরও বেশি দেশ ইউক্রেনের প্রতি “চলমান রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কেবল আত্মরক্ষার জন্যই নয়, বরং রাশিয়া তাদের যে অঞ্চল দখল করেছে তা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য যা যা দরকার তা নিশ্চিত করার জন্য” প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
“এখানে আরোও ব্যাপার আছে — এবং আমি মনে করি এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — ইউক্রেনকে একটি ভবিষ্যত বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশের প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন যা প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশটি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বাস করেন যে তিনি যে কোন ভাবে ইউক্রেন, এর জনগণ এবং এর সমর্থকদের ছাড়িয়ে টিকে থাকতে পারবেন।
“[নেটো] জোটের কাজ, এই জোটের অংশ স্বতন্ত্র দেশগুলি এবং সেইসাথে বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের কাজ ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য, তার প্রতিরক্ষায় সাহায্য করা, সেইসাথে তাকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরী করা — এটাই পুতিনের এই বিভ্রান্তিকর ধারণা পরিত্যাগ করানোর জন্য একমাত্র কার্যকর উপায়।
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)