জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা ও সংস্কার বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ক্রিস লু বলেন, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুথি বিদ্রোহীদের অব্যাহত হামলার মুখে, নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই সব হামলা সামুদ্রিক নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল এবং বাণিজ্যের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে।
এবং তারা ২ কোটি ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে ইয়েমেনের নাজুক মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটায়।
রাষ্ট্রদূত লু উল্লেখ করেন যে ১৯ নভেম্বরের পর থেকে হুথি বিদ্রোহীরা ২০ বারেরও বেশি হামলা চালিয়েছে।
“এমনকি আমরা যখন হুথিদের এই হামলাগুলি, যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, বন্ধ করার জন্য দাবি জানিয়ে যাচ্ছি, সমস্যার মূল কারণ আমাদের উপেক্ষা করা উচিত নয়। ইরান দীর্ঘদিন ধরে হুথিদের এই হামলাগুলোকে সম্ভব করে তুলেছে।”
রাষ্ট্রদূত লু বলেন, “২০১৫ সাল থেকে হুথিদের এই ধরনের কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইরান অর্থায়ন করার বাইরেও, তারা হুথিদের কাছে চালকবিহীন বিমান সিস্টেম, ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং নৌযানের বিরুদ্ধে আক্রমণে ব্যবহৃত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করেছে। ... আমরা এও জানি যে ইরান লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনায় গভীরভাবে জড়িত।”
“যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষ চায় না। ইরানের এখানে একটি বিকল্প রয়েছে: তারা তাদের বর্তমান পথ ধরে এগিয়ে যেতে পারে, অথবা তারা তাদের সমর্থন উঠিয়ে নিতে পারে – এই সমর্থন ছাড়া হুথিরা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরের মধ্য দিয়ে জাহাজ চলাচল পথ দিয়ে যাতায়াত করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে কার্যকরভাবে অনুসরণ এবং হামলা করতে নাজেহাল হবে।”
রাষ্ট্রদূত লু জোর দিয়ে বলেন, “হুথিদের কাছে সব ধরনের অস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সামগ্রী সরবরাহ করা এই পরিষদের প্রস্তাব ২২১৬ এর লঙ্ঘন,সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এই প্রস্তাবের অধীনে তাদের দায়িত্ব মেনে চলা উচিত: লোহিত সাগরে নৌ চলাচলের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি হুমকি বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ এবং এর একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।”
রাষ্ট্রদূত লু ঘোষণা করেন, “আসুন আমরা নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের দায়িত্ব মনে রাখি।”
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)