যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সীমান্ত বরাবর রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তীব্র বাগাড়ম্বর ব্যবহারের খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রতি "উত্তেজনা প্রশমনের” আহ্বান জানাচ্ছ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, নভেম্বরে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলিবা'র ওয়াশিংটন সফরের সময় সাংবাদিকদের বলেন, "মস্কো'র মনোভাব সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা নেই, তবে তাদের রাজনৈতিক ছলচাতুরী আমাদের জানা। রাশিয়া ২০১৪ সালে সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করে, সার্বভৌম ইউক্রেনের অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং মিথ্যা দাবি করে যে তাতে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। আমাদের আশংকা, মারাত্মকভাবে ভুল করে তারা আবারও সেই পদক্ষেপ নিতে পারে"।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি কঠিনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউক্রেনের সীমান্ত বরাবর রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অস্বাভাবিক ও কার্যত আগ্রাসী তৎপরতার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনসহ তাঁদের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে চলেছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তথ্য ও বুদ্ধিমত্তা ভাগাভাগি করা এবং নানাবিধ অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষতম সামরিক অফিসার ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ'র চেয়ারম্যান, মার্ক মিলিও সম্প্রতি টেলিফোনে তাঁর রুশ প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পেন্টাগন জানায়, তারা আলোচনায় “নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের প্রতি আলোকপাত করেন, যাতে অব্যাহতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেঝুঁকি কমানো এবং কার্যকর ভাবে দ্বন্দ্ব নিরসন করা যায়।
সংবাদ ব্রিফিং’এ পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “রুশ-ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর এখন আমরা যা দেখছি, রুশ সামরিক বাহিনীর অস্বাভাবিক তৎপরতার যেসব খবর পাচ্ছি, ২০১৪ সালের হস্তক্ষেপের পর আবার যে মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশে আমরা কুন্ঠিত হবো না। আমরা ইউক্রেনের প্রতি আমাদের বজ্র-কঠিন প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করে ব্যক্ত করতে শুধুমাত্র এসব বলছি না, আমরা রুশ ফেডারেশনকেও আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দিচ্ছি"।
মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বছর ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের সমর্থনে নিরাপত্তা সহায়তা বাবদ ৪০ কোটি ডলারের অধিক খরচ করেছে। তিনি ঘোষণা করেন, “এই প্রশাসনের শুরু থেকে আমরা আমাদের সদিচ্ছা দেখিয়েছি যে, আমরা রাশিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাবের বিরুদ্ধে বেশ কতকগুলো ব্যবস্থা নিতে ইচ্ছুক ও সমর্থ এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সেসব পদক্ষেপ নিতে আমরা দ্বিধাবোধ করবো না"।
মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, বর্তমানে কূটনীতিতে আমরা সম্পৃক্ত রয়েছি”। তবে প্রকৃত ক্ষেত্রে আমরা যা দেখবো, বা দেখবো না তার ওপরেই আমাদের বক্তব্য বদলাবে, পরিবর্তন আসবে এবং একাধারে আমাদের পদক্ষেপে সম্ভাব্য পরিবর্তন সূচিত হবে"।
//এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতির প্রতিফলন রয়েছে//