Accessibility links

Breaking News

আফ্রিকার সঙ্গে অভিন্ন স্বার্থের পাঁচটি বিষয়


নাইরোবির একটি হোটেলে নাগরিক সমাজের এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ১৭ই নভেম্বর ২০২১ ( এ এফ পি)
নাইরোবির একটি হোটেলে নাগরিক সমাজের এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ১৭ই নভেম্বর ২০২১ ( এ এফ পি)

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফ্রিকায় তাঁর সাম্প্রতিক সফরে আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অভিন্ন   স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঁচটি খাতকে চিহ্নিত করেন।  

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফ্রিকায় তাঁর সাম্প্রতিক সফরে আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঁচটি খাতকে চিহ্নিত করেন।

আমাদের প্রথম অভিন্ন স্বার্থ হচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক অর্থনীতি তৈরি করা। দ্য প্রস্পার আফ্রিকা উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি। দ্য আফ্রিকা গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট’এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আফ্রিকার পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে, এবং আফ্রিকান দেশগুলো যেন এই সুযোগের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে, যুক্তরাষ্ট্র সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আফ্রিকার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এরিয়াকে স্বাগত জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, দ্বিতীয় স্বার্থ হচ্ছে সম্মিলিতভাবে জলবায়ু সংকটকে মোকাবেলা করা। তিনি বলেন, “মহাদেশজুড়ে এর ভয়াবহ প্রভাব স্পষ্ট। খরা, বন নিধন, ফসল নষ্ট, বন্যা, মরুতে রূপান্তরের আশংকা বৃদ্ধি, খাদ্য অনিরাপত্তা, সম্পদের প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক ক্ষতি, দেশান্তরণে ‘এ রয়েছে ‘এর প্রভাব। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পানি, খাদ্য, ও মানুষের জীবন ধারণের অপরিহার্য অংশ হয়েছিল চাদ হ্রদটি। এখন সেটি প্রায় নিঃশেষের কাছাকাছি। ষাট বছর আগের তুলনায় তা সংকুচিত হয়ে মাত্র কুড়ি ভাগে পৌঁছেছে ”।

অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জরুরী পরিকল্পনা আফ্রিকার অভিযোজন প্রয়াসে সহযোগিতা করবে। আফ্রিকাজুড়ে রাষ্ট্রপ্রধানরা এই উদ্যোগ শুরু করেছেন। এর লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের সত্বে ও জ্বালানি সাশ্রয়ী ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামোতে পরিকল্পনা এবং অর্থায়ন করা।

তৃতীয়ত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “আমাদেরকে কোভিড মহামারীকে পরাস্ত করতেই হবে”। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ২৭ কোটি টিকার ডোজ সরবরাহের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ৭ কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে ৪৩টি সাব-সাহারান দেশে এবং আরও দেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

চতুর্থ স্বার্থ হচ্ছে আফ্রিকায় গণতন্ত্র জোরদার করা। বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক পশ্চাদাপসরণের বিষয়টি উদ্বেগজনক। তা ছাড়া সাধারণ মানুষদের এবং নীরবে ভিন্নমত পোষণকারীদের টার্গেট করে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই , ইন্টারনেট স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানো , গোয়েন্দা প্রযুক্তির অপব্যাবহার হ্রাস, সাইবারস্পেসের যৌক্তিক ও দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করার জন্যে গণতন্ত্রকে যে কোন আহ্বানে সাড়া দিতে হবে”।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন পরিশেষে আফ্রিকায় স্থায়ী নিরাপত্তা ও শান্তিকে এগিয়ে নেওয়া । আফ্রিকায় সহিংস জঙ্গি, অপরাধীদের হুমকি ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত বাস্তব সমস্যা। এর আংশিক সমাধান হতে পারে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান রেখে পেশাদার জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য কর্তৃক নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়া। তবে সংঘাতের মূল উৎপাটন করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লিংকেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকায় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় এমনভাবে যেনো আপনাদের স্বার্থ, আমাদের স্বার্থ এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মানুষের স্বার্থ, যা আমাদের যৌথ অর্জনের ওপর কিছুটা নির্ভর করে, তা রক্ষা করা যায়”।

[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে]

XS
SM
MD
LG