Accessibility links

Breaking News

খ্রীষ্টমাস কিংবা বড়দিন


প্রতি বছর ২৫শে ডিসেম্বর খ্রীষ্টমাস  বা বড়দিন , পালন করা হয়। এটি খ্রীস্টান ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ছুটির দিন।যীশু খ্রীষ্ট, যাঁকে ধর্মপ্রাণ খ্রীস্টানরা ঈশ্বরের পুত্র বলে বিশ্বাস করেন, এদিন তাঁর জন্ম উদযাপন করা হয়। খ্রীষ্টমাস  শব্দটি "খ্রীষ্ট" এবং মাস বা "গণ" শব্দের সংমিশ্রণ, এটি রোমান ক্যাথলিক চার্চের উপাসনার একটি অন্যতম আচার।  

প্রতি বছর ২৫শে ডিসেম্বর খ্রীষ্টমাস বা বড়দিন , পালন করা হয়। এটি খ্রীস্টান ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ছুটির দিন।যীশু খ্রীষ্ট, যাঁকে ধর্মপ্রাণ খ্রীস্টানরা ঈশ্বরের পুত্র বলে বিশ্বাস করেন, এদিন তাঁর জন্ম উদযাপন করা হয়। খ্রীষ্টমাস শব্দটি "খ্রীষ্ট" এবং মাস বা "গণ" শব্দের সংমিশ্রণ, এটি রোমান ক্যাথলিক চার্চের উপাসনার একটি অন্যতম আচার।

তারিখটি বরং কিছুটা সমস্যাযুক্ত, কারণ যীশুর জন্মের সুনির্দিষ্ট তারিখের কোন প্রমাণ নেই। খ্রীষ্টের সময় কালের ২০০ বছরেরও বেশি সময় পরে, একজন খ্রীষ্টান ধর্মযাজক ২৫শে ডিসেম্বর তারিখটি বেছে নেন। [দ্রষ্টব্য: ২২১ খ্রিস্টাব্দ] এরপরও খ্রীষ্টান বিশপদের দ্বারা তারিখটি গ্রহণ করতে, আরও প্রায় এক শতাব্দী লেগেছিল। সম্ভবত এটি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল এই কারণে যে, এটি শীতকালীন অয়ন উদযাপনের ক্ষণসহ অনেক কিছুর সাথে মিলে যায়, বিশেষ করে রোমান সূর্যোৎসব পালন এবং "ডাইস সোলিস ইনভিক্টি নাটি" বা অদম্য সূর্যের দিন।

২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন পালনের প্রথম নথিভুক্ত তারিখটি ছিল ৩৩৬ সালে, প্রথম খ্রীষ্টান রোমান সম্রাট কনস্টানটাইনের সময়।

পরবর্তী কয়েক শতাব্দীজুড়ে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে এবং দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকা অনেক প্রথা, বড়দিনের সাথে যুক্ত হবার ফলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কাছে উপহার দেয়ার রীতি পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে শুরু হয়, যখন চিরহরিৎ গাছের সজ্জার কথা প্রথম ১৬০৫ সালে উল্লেখ করা হয় । বর্তমানে বড় দিনের বিশেষ আকর্ষণ যে খ্রীষ্টমাস ট্রি আমরা সাজাই, তা প্রায় ২০০ বছর আগেও ছিলনা।

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, খ্রীষ্টমাস ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজের বাইরে সম্প্রসারিত হয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ পারিবারিক ছুটিতে পরিণত হয়, এবং খ্রীষ্টান অ- খ্রীষ্টান সবাই একইভাবে পালন করা শুরু করে। আজ, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ খ্রীষ্টমাস উদযাপন করছে, এবং এটা শিশুদের জন্যও প্রিয় একটা ছুটির দিন। গণপ্রার্থনার ঐতিহ্য এবং শিশু যীশুর জন্মদিবস এখনও উদযাপন করা হলেও, পরিবারকেই সবার উপরে প্রাধান্য দেয়া হয়। এছাড়া আত্মীয়দের সাথে পুণঃমিলন এবং বন্ধুবান্ধব সহ নির্বিশেষে সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করা এগুলো এখন খ্রীষ্টমাস উদযাপনের অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। কেবল তাদেরকে নয় যাদের আমরা ভালবাসি বরঞ্চ তাদেরকেও যারা অভাবে রয়েছে তাদেরকেও দানে-উপহারে সঙ্গী করা হয় এই খ্রীষ্টমাসে। সর্বোপরি বয়ঃকনিষ্ঠদের চোখের বিস্ময় আমাদের মনে করিয়ে দেয়, খ্রীষ্টমাস যেন সবসময় ছিল। বড়দিন মানেই আশার আলো, খ্রীষ্টমাস মানেই আসন্ন বছরের জন্য ভাল কিছুর প্রত্যাশা।

XS
SM
MD
LG