Accessibility links

Breaking News

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট প্রশমনে আসন্ন কূটনৈতিক প্রয়াস


যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারম্য়ান ব্রাসেলস'এ নেটো সদরদপ্তরে ইউক্রেন-রাশিয়া সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন ১২ই জানুয়ারি ২০২২ ।
ছবি : রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারম্য়ান ব্রাসেলস'এ নেটো সদরদপ্তরে ইউক্রেন-রাশিয়া সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন ১২ই জানুয়ারি ২০২২ । ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও শরিকরা ইউক্রেনের সঙ্কট প্রশমনের লক্ষ্যে কতকগুলি বৈঠকে বসার প্রয়াস নিচ্ছেন। ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রাশিয়ার প্রায় ১ লক্ষের মত সেনা মোতায়েনের কারণে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এই সব বৈঠক  সেই সংকট নিরসনের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও শরিকরা ইউক্রেনের সঙ্কট প্রশমনের লক্ষ্যে কতকগুলি বৈঠকে বসার প্রয়াস নিচ্ছেন। ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রাশিয়ার প্রায় ১ লক্ষের মত সেনা মোতায়েনের কারণে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এই সব বৈঠক সেই সংকট নিরসনের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে।

১০ই জানুয়ারী যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত স্থিতিশীলতা বিষয়ে সংলাপের মধ্য দিয়ে সর্ব-সাম্প্রতিক ও উচ্চতর পর্যায়ের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। এরপর ১২ই জানুয়ারি নেটো-রাশিয়া কাউন্সিল বৈঠক এবং ১৩ই জানুয়ারি অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এন্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ সংক্ষেপে ওএসসিই 'র সঙ্গে স্থায়ী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জিলেন্সকি'র সঙ্গে সাম্প্রতিক টেলিফোন সংলাপে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করেছেন যে, "রাশিয়া ইউক্রেনে আরো অভিযান চালালে", যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও শরিকরা “তার সমুচিত জবাব দেবে”। উভয় নেতা উত্তেজনা প্রশমনে আসন্ন কূটনৈতিক প্রয়াসের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিং’এ পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র, নেড প্রাইস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও অংশীদাররা একতাবদ্ধ থাকবে। তিনি বলেন, “রাশিয়া যদি ইউক্রেনের দিকে এগিয়ে যায় তার পরিণতিতে নেটো জোট হিসাবে আমরা থাকবো একতাবদ্ধ। তবে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনীতিতে সম্পৃক্ত হতে আমাদের সদিচ্ছার বেলায়ও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো"।

মি. প্রাইস আরো বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এসব বৈঠকে "আমরা সব সময়ে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের বেলায় "তাদেরকে ছাড়া তাদের বিষয় কোনো কিছু নয়" এই নীতি মেনে চলবো।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহ ও মাসগুলিতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার আগ্রাসী পদক্ষেপ ও বাগাড়ম্বর নিয়ে ইউক্রেন, নেটো, ইউ, জার্মানিতে ইউরোপীয় অংশীদার, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে জোরালোভাবে শলা-পরামর্শ করেছে। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের নেটো মিত্র জোট, আমাদের সহযোগী ইউক্রেন, বৃহত্তর ইউরোপীয় মিত্রজোট এবং অংশীদারদের সঙ্গেও সম্পৃক্ত হয়েছে”।

মুখপাত্র প্রাইস বলেন, "এই অবস্থায় এখানে আমাদের দায়িত্ব এটা নির্ধারণ করা যে, কোথায় রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার করার কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় আমরা সাফল্য অর্জন করবো, আবার আমি নিশ্চিত যে, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মত-পার্থক্য থাকবে।

এটাই কূটনীতি, এবং আমরা যেমনি ভাবে তা বজায় রেখেছি, আমাদের বিশ্বাস সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে গঠনমূলক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, যখন ইউক্রেন ঘিরে সংঘাত প্রশমনের সম্ভাবনা আমরা খুঁজে দেখবো"।

[[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতির প্রতিফলন রয়েছে]]

XS
SM
MD
LG