সেপ্টেম্বর মাসে গণতান্ত্রিক কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, তার পূর্ব উপকূলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণসহ কতগুলি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, যা ছিল পিয়ংইয়ং কতৃক গত ৬ মাসে প্রথম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাI
যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন,"এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নানাবিধ প্রস্তাবের লঙ্ঘন, এবং আমরা জানি যে এসব পরীক্ষা DPRK-র প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদের জন্যও হুমকিস্বরূপ।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি, জন কারবি ঘোষণা করেছেন, "এসব তৎপরতা ডিপিআরকে 'র অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরে,"এবং তিনি কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, (আরওকে) এবং জাপানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের লৌহসম সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেনI
যুক্তরাষ্ট্র এবং ডিপিআরকে'র মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা ২০১৯ সাল থেকে থেমে আছে, তবে বাইডেন প্রশাসন তাদের পুনরুজ্জীবিত করার ইচ্ছা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেI
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র প্রাইস বলেন, "আমরা এই নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, সংলাপ বা আলোচনা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের অনুমতি এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের সমাধান দেবে। "ডিপিআরকে-র প্রতি আমাদের কোনো শত্রুতা নেই, আমরা যা চাই, তা হল ঐ অঞ্চলে আমাদের মিত্রদের জন্য হুমকি হ্রাস করা এবং যাতে আরওকে (ROK) এবং জাপানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং আমরা মনে করি কূটনীতির মাধ্যমে এর সমাধান দেয়া যাবে"I
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছেI সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি উত্তর কোরিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি, সুং কিম অন্যান্য বিষয়সহ DPRK 'র কর্মতৎপরতা নিয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হনI DPRK বা উত্তর কোরিয়ার দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোল্ এ মিলিত হয়েছিলেনI
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই বৈঠকগুলিকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা ও কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে উল্লেখ করে বলেন, অভিন্ন লক্ষ্যে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্র ও এই অঞ্চলের দেশগুলির কূটনৈতিক প্রয়াস "কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হবে অর্থপূর্ণ অগ্রগতি" ।
(এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতির প্রতিফলন রয়েছে)