যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের জন্য আশাব্যঞ্জক সময়

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বানিজ্যিক আলাপ ।ালোচনা

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক সেক্রেটারি জিনা রেমন্ডো, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সিইও ফোরাম ও ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটির (আইপিইএফ) বৈঠকে ঘোষণা করেন,''যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের জন্য এটা আশাব্যঞ্জক সময়।''

সেক্রেটারি রেমন্ডো জানান,''ভারতের সঙ্গে আমাদের যৌথতা আমাদের সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি এবং আমি বলব, অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এর কারণ হল, আমাদের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে ঘিরে যে অভিন্ন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত আমরা তার অংশীদার। সেই সঙ্গে, অবাধ, মুক্ত, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিকে জোরালো করতে নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলা প্রচারে আমরা দায়বদ্ধ।

সেক্রেটারি রেমন্ডো বলেন দুই দেশেই চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা ও আরও জোরালো ও নিরাপদ সরবরাহ শৃঙ্খল-ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারিত করার সুযোগ রয়েছে।

''কয়েক সপ্তাহ আগে, বোয়িং ও এয়ার ইন্ডিয়া ২২৮টি বিমানের অর্ডারের বিষয়ে ঘোষণা করেছে যা এক ঐতিহাসিক চুক্তি এবং এটি আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ়তাকেই প্রতিফলিত করে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সংখ্যক চাকরিতে সাহায্য করবে।''

সেক্রেটারি রেমন্ডো ঘোষণা করেন,''আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকারের আরও একটি জরুরি উদাহরণ হল সেমিকন্ডাক্টর।''

''যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই সেমিকন্ডাক্টর উত্সাহিত করার কর্মসূচী প্রয়োগ করছে এবং এই বিনিয়োগ নিয়ে কীভাবে সমন্বয় সাধন করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এটি আমাদের উভয়ের স্বার্থেই এবং আমাদের উভয় দেশের জন্য সেরা সম্ভাব্য ফলাফলকে নিশ্চিত করতেই। বৈদ্যুতিন সরবরাহ শৃঙ্খলে বৃহত্তর ভূমিকা পালনে ভারতের যে আকাঙ্ক্ষা, আমরা চাই, ভারত তা অর্জন করুক এবং এই সফরে সেমিকন্ডাক্টর বিষয়ে আমি যে এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করছি তা, এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করতে পরিকল্পনা করা হয়েছে।''

সেক্রেটারি রেমন্ডো উল্লেখ করেন,''ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক গঠনকাঠামো বা আইপিইএফের অংশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরাও খুশি।''

“আরও জোরালো ও নিরাপদ সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরি করতে, আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তির স্থানান্তরের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে ও আরও ভাল বাণিজ্যিক আবহ নির্মাণে আমাদের দায়বদ্ধতাকে স্পষ্ট করতে আইপিইএফের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও এই অঞ্চলের অন্য ১২টি সহযোগী রাষ্ট্র নীতিমালা তৈরি করছি।''

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়ে তাদের অর্থনীতির সুফলের জন্য দ্বিপাক্ষিকভাবে ও এই অঞ্চলের অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে বিপুল পরিমাণে কাজ করতে পারে। সেক্রেটারি রেমন্ডো বলেন, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত মৈত্রীকে সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করার যে সুযোগ রয়েছে সেই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রচন্ড আশাবাদী।

এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত ব্যক্ত হয়েছে।