বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক নীতির প্রচার ও প্রসার

হোয়াইট হাউজের সাউথ কোর্ট অডিটোরিয়ামে সামিট ফর ডেমক্র্যাসিতে বক্তব্য রাখছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । ওয়াশিংটন ডিসি, মার্চ ২৯,২০২৩ ।

বিশ্বের অনেক জায়গায় গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে এই মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার ভাষণে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন ব্যাখ্যা করে বলেন, "বিশ্বজুড়ে আমরা যে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হই তা মোকাবেলার জন্য আমাদের সর্বোত্তম হাতিয়ার হল, এটা দেখানো যে গণতন্ত্র কীভাবে মানুষের জীবনের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তা যেকোন উপায়ে প্রদান করতে পারে।"

“বৈশ্বিক অবকাঠামো এবং বিনিয়োগের লক্ষ্যে অংশীদারিত্বটি অবকাঠামোগত বিনিয়োগের জন্য যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ...” নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে, বিশেষ করে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, সে কথাই তুলে ধরে। আমরা কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে পাবলিক বিনিয়োগের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থায়ন অবমুক্ত করতে পারি।”

জি-সেভেন ২০২৭ সালের মধ্যে অবকাঠামোগত অর্থায়নের জন্য ছয় হাজার কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই ধরনের যৌথ বিনিয়োগ অনেক দেশ ও ক্ষেত্রকে উপকৃত করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, লোবিটো করিডোরটি আফ্রিকা জুড়ে অ্যাঙ্গোলার পশ্চিম বন্দর হয়ে গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো থেকে জাম্বিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, যা আঞ্চলিক সংযোগক্ষেত্র প্রসারিত করবে এবং আফ্রিকায় বাণিজ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করবে।

এই অংশীদারিত্বগুলোর মধ্যে কোনটিই বিশ্বজুড়ে চীনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নয়।

এগুলো হল আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

“যখন চীন সম্পর্কে কথা আসে, আমি স্পষ্ট এবং সঙ্গতিপূর্ণ হতে চাই। আমরা দায়িত্বশীলভাবে আমাদের দেশগুলির মধ্যকার প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে চাই, যেন এটি সংঘাতের দিকে না যায়।

আমি বলেছি যে আমরা ঝুঁকিমুক্ত হতে চাই, চীনের সাথে আলাদা হতে নয়।

আমরা আগ্রাসন এবং ভয়-ভীতিকে রুখবো এবং জলপথ থেকে আকাশপথে পরিচালনার স্বাধীনতার নিয়ম রক্ষা করবো যাতে সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক স্তর পর্যন্ত পৌঁছানো যায় এবং তা কয়েক দশক ধরে সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধিতে সহায়তা করে।"

যুক্তরাষ্ট্রও গণবিধ্বংসী অস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট বৈশ্বিক হুমকি কমাতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে, বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

“আমরা একটি রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে অন্তত শেষ রাসায়নিক অস্ত্র নিরাপদে ধ্বংস করেছি, যা যুক্তরাষ্ট্র মজুদ করে রেখেছিল এবং আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত লঙ্ঘনের নিন্দা জানাচ্ছি।

তবে আমরা কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক আলোচনা জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমরা ইরানের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে তা মোকাবেলায় আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি এবং আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল আছি যেন ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে।”

যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মাধ্যমে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেমনটি বলেন, এটি "দায়িত্বশীল বিশ্ব নেতৃত্বের ভিত্তিরেখা।"

(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)