যুক্তরাষ্ট্র একটি গর্বিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ এবং তার মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, সংযুক্ত এবং সমৃদ্ধ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি রাখে।
দুই বছর আগে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন দ্বারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল চালু করার পর থেকে সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়কারী জন কার্বি বলেন, “আমরা ‘অকাস’ চালু করেছি এবং অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক শক্তি-চালিত সাবমেরিন সক্ষমতা পাওয়ার জন্য সেই প্রক্রিয়াটি সময়সূচী অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে।”
“আমরা কোয়াড উন্নীত করেছি — প্রশান্ত মহাসাগরীয় চতুর্পাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ। আমরা ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং আসিয়ানের সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নত করেছি।”
“প্রেসিডেন্ট ক্যাম্প ডেভিডে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃবৃন্দকে আপ্যায়ন করেন এবং শুধু প্রতিটি দেশ, প্রতিটি মিত্রের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিই করেননি, বরং অন্য সব জায়গার তুলনায় ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা পাওয়ার আরো ভালো সুযোগও পেয়েছেন।”
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে, অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা জোরদার করতে, সাপ্লাই চেইনকে শক্তিশালী করতে এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সকলের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ প্রসারিত করতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে, যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা আরও জোরদার করছে। নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মিত্র এবং অংশীদার দেশগুলো যে বিনিয়োগ করছে, সেটায় সমর্থন দিচ্ছে। একে অপরের সরঞ্জাম ব্যবহার করার ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরপত্তা উন্নত করছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি নেতৃত্ব এবং প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে এই ধারণায় যে, দেশগুলি একসাথে কাজ করলে আরও মুক্ত, সমৃদ্ধ এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যত গড়া সম্ভব।
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)