লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সহায়তা বৃদ্ধি

লেবাননের দক্ষিণে টায়ার শহরের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলার স্থান থেকে ধোঁয়া উঠছে, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪।

হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা করার ফলে যে যুদ্ধ শুরু হয়, তারফলে গাজায় হাজার হাজার নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি মারা যান। দুঃখজনকভাবে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ১৭০১-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন করে ইরান সমর্থিত আরেকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে সংঘর্ষটিতে যোগ দেয়। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়ের ফলে ইসরায়েল লেবানন সীমান্তের উভয় দিকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫০,০০০ জন বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়।

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর উপর একের পর এক ব্যাপক ক্ষতিকর আঘাত হেনেছে: গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে তাদের শীর্ষ নেতাদেরহত্যা করা; লেবাননের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্যবস্তু করে তীব্র বিমান হামলা চালানো; এবং দক্ষিণের হিজবুল্লাহ-অধ্যুষিত এলাকায় স্থল অনুপ্রবেশ চালিয়ে।

জাতিসংঘের মতে, বর্তমানে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘর্ষের ফলে লেবাননের দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। দুই লাখেরও বেশি মানুষ লেবানন থেকে সিরিয়ায় সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস বলেন, “লেবাননের জনগণ ক্রমবর্ধমানভাবে একটি ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমি লেবাননে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের সকল প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করার জন্য কাজ চালিয়ে যাব। সেই লক্ষ্যে, সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের সাহায্য করার জন্য খাদ্য, আশ্রয়, পানি, নিরাপত্তা এবং স্যানিটেশনের মতো প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের জনগণকে প্রায় ১৫ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করবে। এই অতিরিক্ত সমর্থন গত বছরে লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তাকে ৩৮ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি নিয়ে আসে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, এই অতিরিক্ত সহায়তা লেবানন থেকে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া মানুষদেরও সহায়তা করবে।

অতিরিক্ত সহায়তা নিয়ে ঘোষণা করার সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র লেবানন এবং সমগ্র অঞ্চলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সাহায্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা অন্যান্য দাতাদের এই নতুন মানবিক প্রয়োজনে অবদান রাখার জন্য আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিডআউটে মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের সাথে তার সাম্প্রতিক আলোচনায় দেখা যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তের উভয় দিকের বেসামরিক নাগরিকদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ১৭০১ ব্যবহারের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন ।

(এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অভিমত সম্বলিত একটি সম্পাদকীয়)