হাইতিতে ঐকমত্যের সরকার গঠন

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ড্যানিয়েল ফুট সেখানকার জাতীয় পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিশেল সিসনের সঙ্গে বৈঠকে

যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েসে'র জঘন্য প্রাণনাশের পর, হাইতির রাজনৈতিক নেতারা একত্রিত হয়ে একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে যে পথ নির্দেশনা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেই প্রাথমিক  প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছেI ৫৩ বছর বয়সী ময়েসকে  ৭ই জুলাই পোর্ট অ প্রিন্সে তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবনে হত্যা করা হয়, যে হামলায় তাঁর স্ত্রী গুরুতরভাবে আহত হনI  

যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েসে'র জঘন্য প্রাণনাশের পর, হাইতির রাজনৈতিক নেতারা একত্রিত হয়ে একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে যে পথ নির্দেশনা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেই প্রাথমিক প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছেI ৫৩ বছর বয়সী ময়েসকে ৭ই জুলাই পোর্ট অ প্রিন্সে তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবনে হত্যা করা হয়, যে হামলায় তাঁর স্ত্রী গুরুতরভাবে আহত হনI

প্রেসিডেন্ট ময়েসে'র হত্যাকান্ড চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী, ক্লদ জোসেফ পরে তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে এবং সমন্বিত একটি সরকার গঠনে সম্মত হন, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন এবং প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টি করা।

প্রেসিডেন্ট ময়েস তাঁর হত্যাকাণ্ডের ঠিক একদিন আগে, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী, জোসেফ'র স্থলে, ড: এরিয়েল হেনরিকে মনোনীত করে যান, যিনি এখন দেশটি পরিচালনা করবেনI যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, হাইতি'র নতুন সরকার গঠনকে ইতিবাচক এবং হাইতির জনগণের চাহিদা মেটাতে এবং হাইতির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির পুনরুদ্ধার শুরু করার ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেনI

ময়েসের মৃত্যুর সময় হাইতি চরম এক রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিল , সংসদ ছিল অকার্যকর, সুপ্রিম কোর্ট ছিল গুরুত্বহীন , নির্বাচিত মেয়রদের অনুপস্থিতি এবং মুষ্টিমেয় আইনপ্রণেতা দিয়ে চলতো রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমI দ্বীপ রাষ্ট্রে অপরাধী চক্রের সহিংসতা ও অপহরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়I

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একত্রিত হয়ে, যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী হেনরি ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের হাইতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রাণবন্ত সুশীল সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে বৃহত্তর এবং সমন্বিত আলাপ-আলোচনা জোরদার করার অনুরোধ জানাচ্ছে, যাতে হাইতির জনগণের চাহিদার প্রতিফলন ঘটবে এবং যা, দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবেI

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েসের হত্যকান্ডের সরকারি তদন্তের প্রতি সহায়তা জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবোI আমরা কভিড-১৯ ‘এর টিকা কর্মসূচি সম্প্রসারণ, নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় হাইতির জাতীয় পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা এবং যথাশীগ্র সম্ভব ভোট দানের উপযুক্ত পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধনে কাজ করে যাবোI

যুক্তরাষ্ট্র সরকার শান্তি বজায় রাখতে হাইতির সকল জনগণকে শান্তি বজায় রাখতে একত্রিত হওয়ার আবেদন জানাচ্ছে এবং স্থিতিশীল, সমৃদ্ধশালী এবং গণতান্ত্রিক একটি দেশ হিসাবে গড়ার অন্বেষায় হাইতির জনগণকে সহায়তা প্রদান করা অব্যাহত রাখবেI