ইরান আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি, তবে আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম

ফাইল ছবি, ভিয়েনায় জেসিপিওএ বা (জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন) বৈঠকের দৃশ্য,১৭ই ডিসেম্বর, ২০২১/ রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন ২০১৮ সালে সরকারিভাবে পরিচিত জেসিপিওএবা (জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন) অর্থাত্ ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাহার একটি "চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির" সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ইরান পরমাণু কর্মসূচিকে নিয়ন্ত্রণে না রেখে, বিপজ্জনক ভাবে তার কর্মসূচি নিয়ে ইরান এগিয়ে চলেছে, এই পরিস্থিতি এখন আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে এবং আমরা তাই করছি"।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেন, ইরান যাতে কখনো পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে যুক্তরাষ্ট্র তাই দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। “আমরা এখনো বিশ্বাস করি আগামী মাসগুলোতে নয়, সপ্তাহগুলোতে যদি আমরা জেসিপিওএ বা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন অর্থাত্ পরমাণু চুক্তি বিষয়ক আলোচনায় ফিরে যেতে পারি সেটাই হবে আমাদের ও আমাদের মিত্রদের এবং এই অঞ্চলের অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা"।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ভিয়েনা আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছে, যেখানে জেসিপিওএতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারস্পরিক ফিরে আসার ব্যাপারে মধ্যস্থতা করেছে ইরান ও পি-ফাইভ প্লাস ওয়ান দেশগুলো, যেমন, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্র।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনঅবশ্য হুঁশিয়ার করে দেন যে, আলোচনা সম্পন্ন করার সময় হয়ে আসছে "অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত"।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান তার ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা প্রায় অস্ত্র-তৈরি পর্যায়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "ইরান সেই মাত্রার অত্যন্ত কাছে গিয়ে পৌঁছেছে যেখানে তারা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই পরমাণু অস্ত্রের জন্য বিদীর্ণ যোগ্য অর্থাত্ "ফিসাইল সামগ্রী" উৎপাদনে সমর্থ হবে। আর তারা যে অগ্রগতি অর্জন করছে তাকে পাল্টে দেওয়া ক্রমশ কষ্টকর হবে কারণ চুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় তারা নতুন নতুন জিনিস শিখছে এবং নতুন কাজ করছে "।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "আগামী সপ্তাহগুলোতে জেসিপিওএতে ফিরে আসার পারস্পরিক চুক্তি সম্পাদিত না হলে, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যত্র তাদের শরিক ও সহযোগীদের সঙ্গে “অন্যান্য পদক্ষেপ ও অন্যান্য বিকল্পের” কথা ভাববে। তিনি ঘোষণা করেন যে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।তবে এটা এখন স্পষ্ট যে আমাদের তথা মিত্র ও অংশীদারদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটা বোঝাপড়ায় যাওয়াটাই হবে অধিকতর কাম্য"।

[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতির প্রতিফলন রয়েছে]