জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা লাঘব করে, যুক্তরাষ্ট্রকে পুনরায় টেকসই পথে নিয়ে যাওয়া হবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার বিষয়I ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই, প্রেসিডেন্ট বাইডেন, প্যারিস চুক্তিতে পুনরায় যোগ দিতে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনI শপথ গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন, অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে জলবায়ু সঙ্কটজনিত বেশ কতগুলি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর দিয়ে, সরকারি নীতিতে বহু বৃহত্তর পরিবর্তনের সূচনা করেন I
তবে জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বজনীন এক চ্যালেঞ্জ, যা চুড়ান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া মোকাবেলা করা সম্ভব নয়I জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশেষ দূত, জন কেরি ২৭শে জানুয়ারী, দাভোস বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে বলেন, অভ্যন্তরীন প্রয়াস সম্ভবতঃ যথেষ্ট নয়, যদি না আমরা বিশ্বের প্রতিটি দেশ, প্রতিটি খাত থেকে বৃহত্তর উচ্চাভিলাষকে সংযুক্ত করতে, একত্রিত হয়ে, আন্তর্জাতিক একটি কৌশল উদ্ভাবন না করি এবং নিশ্চিত না করি যে, ভবিষ্যতের যে বিশুদ্ধ জ্বালানি আমরা চাই, তা হবে পরিধি ও পরিমাপের নিরিখে বিশ্বজনীন I
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এরেনাটিক্স এন্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সংক্ষেপে, নাসা'র জরিপ অনুযায়ী, ২০২০ সালকে উষ্ণতম বছর হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছেI বিশেষ দূত, কেরি বলেন, বিশ্ব তাপমানকে ১,৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে শিল্প বিপ্লবের আগের মাত্রার উর্ধে না যেতে, যদিও তাকে বিশেষজ্ঞরা প্রলয়ংকারী ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় বলে ভাবেন, আমাদের প্রয়োজন বিশ্ব নির্গমনকে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনা I
যার অর্থ, আমাদেরকে কয়লা, আগের চাইতে ৫গুন দ্রুত হারে প্রত্যাহার করে নিতে হবে I যার অর্থ দ্রুত ৫ গুণ হারে, গাছের সংখ্যা বাড়াতে হবে I যার অর্থ, ৬ গুণ দ্রুত হারে, আমাদেরকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি র ব্যবহার তরান্বিত করতে হবেI যার অর্থ, ২২ গুণ দ্রুতহারে. আমাদেরকে বৈদ্যুতিক গাড়ীতে হস্তান্তর করতে হবে I
বিশেষ দূত, কেরি বলেন, যদি আমরা সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করি, বিনিয়োগ করি এবং বাজারে প্রতিযোগিতাকারীদের নিযোগ দিতে পারি, তাহলে, এসব কিছুই সম্ভবI
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বাসী নন এবং যারা অলস তাদের ব্যাখ্যা যে, এটা জীবনের গুণগত মান ও তাঁর চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মধ্যেকার ইচ্ছা মাত্র, আমাদেরকে সেই ব্যাখ্যা থেকে দূরে থাকতে হবেI সফলতা আসবে বিশ্বের সর্বোত্তম দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং কূটনীতিকের সুযোগ গ্রহণ করেI মস্তিষ্কের শক্তি থেকে বিকল্প জ্বালানি অনুসন্ধানে, সেখানে যেতে আমাদের প্রতিটি সম্পদ ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবেI সম্পূর্ণ নির্গমনমুক্ত ভবিষ্যৎ দেবে অবারিত ব্যাবসা-বাণিজ্য, মুক্ত ও পরিবেশ-বান্ধব চাকুরী ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুযোগ-সুবিধাI
সেক্রেটারি কেরি বলেন, তাই বলা যায়, আমাদের একটি মুহূর্তও নষ্ট করার সময় নেই I এই সমস্যা সমাধানে গোটা বিশ্বকে একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসতে হবেI
Your browser doesn’t support HTML5