যুক্তরাষ্ট্র সরকার, চীনের সামরিক হুমকির তৎপরতার মুখে, তাইওয়ানের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেI জানুয়ারির ২৩ ও ২৪ তারিখে, পিপলস রিপাব্লিক অফ চায়না বা পিআরসি, তাইওয়ানের কাছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ জোনে, কতগুলি জঙ্গিবিমান পাঠিয়েছিলI
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র, নেড প্রাইস বলেন , যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে, তাইয়ানসহ চীনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে চীনের চলমান ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রয়াসের প্রতি নজর রাখছেI আমরা বেইজিংয়ের প্রতি, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ বন্ধ করতে এবং বরঞ্চ তার স্থলে, তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ চালাতে অনুরোধ জানাচ্ছিI
চীন, গত বছর, তাইওয়ানের কাছে জঙ্গিবিমানের উড়ান বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে, তবে এতো বিমান ও এতটা শক্তি প্রদর্শনের মহড়া আগে তারা দেখায় নিI তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দপ্তর অনুযায়ী, চীনের এসব বিমান মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত ছিল, জঙ্গি ও বোমারু বিমান, যেগুলি পরমাণু বোমা পরিবহনে সক্ষম I
অন্য এক উষ্কানীমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসাবে, চীন সম্প্রতি, একটি আইন পাস করে, যাতে স্পষ্টভাবে, চীনের কোস্ট গার্ডকে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে, বিদেশি জাহাজ লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অনুমতি দেয়া হয়I চীন দাবি করে থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের বেশির ভাগই তাদের নিয়ন্ত্রণাধীনে I ২৭শে জানুয়ারী, ফিলিপাইনস সরকার, এই আইনের বিরোধিতা করে এক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জমা দেয়I
২৩শে জানুয়ারী, যুক্তরাষ্ট্রের উএসএস থিওডোর রুজভেল্ট 'র অধীনে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী জাহাজগুলি, সাগরে স্বাধীনতা উন্নয়নের লক্ষ্যে, তাদের নিয়মিত রুটিন মাফিক টহলে, দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেI ক্যরিয়ার স্ট্রাইক গ্রূপ ৯ 'র কমান্ডার, ভাইস এডমিরাল, ডাগ ভেরিসিমো বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের ২/৩% যারা এই অঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ সাগর পথ ব্যবহার করে, তাদের নিরাপত্তায় আমাদের এই অঞ্চলে উপস্থিত থাকা এবং আমাদের সকলের সমৃদ্ধিতে এতকাল ধরে যে নিয়মতান্ত্রিক ধারা প্রচলিত, তার উন্নয়ন অব্যাহত রাখা, অতি গুরুত্বপূর্ণI
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র, নেড প্রাইস, এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের মিলিত সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা এবং মূল্যবোধের উন্নয়নে আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের পাশে থাকবো এবং যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের সঙ্গে আমাদের গভীর বন্ধনI যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীর শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে, যা তাইওয়ানের জনগণেরসদিচ্ছা ও সর্বোত্তম স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণI
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের তিনটি যৌথ বিবৃতির প্রতিশ্রূতি, তাইওয়ান রিলেশনস এক্ট এবং তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি পররাষ্ট্রনীতি সম্বলিত প্রতিশ্রূতি পালন করে যাবেI তাইওয়ানের যথেষ্ট নিজস্ব-প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে, যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা অব্যাহত রাখবে I তাইওয়ানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও অটুট, যা তাইওয়ান প্রণালী, তথা, এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক হবেI