যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বা USAID পরিচালিত, দুর্ভিক্ষ আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা বা FEWS NET অনুযায়ী, দক্ষিণ সুদান এখন আরও একটি বহুমুখী সঙ্কটের মুখোমুখিI ২০২১ সালের জানুয়ারী নাগাদ, দক্ষিণ সুদানের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ভয়াবহতা ও মাত্রা হবে ২০১৪ সাল থেকে রেকর্ড করা সর্ববৃহৎ আকারেরI প্রলয়ংকারী আবহাওয়া ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এই সমস্যার অংশতঃ কারণ ,তবে প্রচন্ড সংঘাতও এর একটি কারণ বলে বিবেচিতI
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অনুযায়ী, বার্ষিক ফলন মরশুমের আগে ব্যাপক আকারের বন্যা, জমির ফলন ও গবাদি পশু গ্রাস করে নিয়েছে, যা, ইতিমধ্যেই ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছে এবং যার কারণে ক্ষুধা, অপুষ্টি দেখা দিয়েছে এবং জনগণ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেনI ৫ বছরের নিচে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেI
এসবের মাঝেই কভিড -১৯ মহামারী এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থ্যা নেবার কারণে, চলমান মানবিক সঙ্কট পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, যা স্বাস্থ্য পরিসেবা কর্মসূচিকে ব্যাহত করছেI ফলশ্রূতিতে দক্ষিণ সুদানে এখন ৭০ লক্ষ ৫০ হাজার জনগণের প্রয়োজন মানবিক সহায়তারI
২৪শে সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ সুদানের জনগণের মানবিক সহায়তায় প্রায় ১০ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার সহায়তার কথা ঘোষণা করেছেI এই সহায়তার অন্তর্ভুক্ত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ মাত্রার A ডায়ালগ 'র আওতায়, বিশ্বজনীন মানবিক সহায়তা বিষয়ে, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সাহায্য দাতা দেশের অর্থায়নপুষ্ট, পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নেয়া, দক্ষিণ সুদানের জনগণI
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাইক পম্পেও, লিখিত বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে জরুরি খাদ্য সহায়তা,স্বাস্থ্য পরিসেবা, বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং পয়ঃনিস্কাশন বাবদ এবং দক্ষিণ সুদানের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় বেঁচে থাকা লোকজনদের সেবার নিমিত্তI
তিনি বলেন, তাঁর কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা এছাড়াও দেয়া হচ্ছে, পার্শবর্তী দেশগুলিতে আশ্রয় নেয়া, ২০ লক্ষ ২০ হাজার দক্ষিণ সুদানি জনগণের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা বাবদ, যাদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশুI এছাড়াও যেসব স্থানীয় সম্প্রদায়, যারা, এদের আশ্রয় দিচ্ছেন তারাও, এই সহায়তার আওতায় রয়েছেনI
যুক্তরাষ্ট্র সরকার, সমগ্র সুদান জুড়ে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সদস্য ও দুর্গত এলাকায় ত্রান সরবরাহ কাজে নিয়োজিত, জাতিসংঘ মানবিক বিমান পরিসেবায় এবং প্রায় ৩০টি বে-সরকারি সংস্থার কর্ম-তৎপরতায় সহায়তা দিচ্ছেI
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ সুদান তথা সারা বিশ্বের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সর্ববৃহৎ একক সহায়তা প্রদানকারী দেশI তিনি বলেন, তাঁর কথায়, আমরা দক্ষিণ সুদানের জনগণের দুর্দশা লাঘবে, আন্তর্জাতিকভাবে সাড়া দিতে পরিবর্তনের সূচনা করা অব্যাহত রাখবোI
আমরা, আজ অব্দি, সকল দাতা দেশের সাহায্য-সহায়তার প্রশংসা করছিI তবে সেই সঙ্গে বর্তমান ও নুতন সহায়তাদানকারী দেশগুলি নুতন নুতন সহায়তার প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ এবং জীবন রক্ষাকারী সহায়তার নিমিত্ত দেয়া, সাহায্যের প্রতিশ্রূতি পালনের আবেদন জানাচ্ছিI