পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বার বারই স্পষ্ট করে বলেছেন যে, হেজবুল্লাহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সামরিক ও রাজনৈতিক শাখায় পার্থক্য থাকার ধারণা হবে, এক কল্পকাথার মতোI তিনি বলেন তাঁর কথায়, এটা এক একেশ্বর বাদী সত্ত্বা, এটা এক সন্ত্রাসী সংগঠনI ইরান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের এটা লিখিত এক সত্ত্বাI পরিপূর্ণভাবে এই সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করতে এবং আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে, যারাই এর সঙ্গে জড়িত এবং হেজবুল্লাহ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনতে হবেI
বিগত বছরগুলিতে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, লিথুয়ানিয়া, কসোভো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং পারাগুয়েসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বহু দেশ, হেজবুল্লাহর পুরো সংগঠনের সামরিক অংশকে শুধু নয়,পুরো সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছেI
এখন ইউরোপের অন্য একটি দেশ, সার্বিয়া এই তালিকায় সংযুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেI সার্বিয়া ও কসোভো'র মধ্যেকার ঐতিহাসিক চুক্তির অংশ হিসাবে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে, সার্বিয়া ঘোষণা করেছে যে, তারা হেজবুল্লাহ সংগঠনকে পুরোপুরি একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করবে ; কসোভো জুন মাসে ওই একই ঘোষণা দেয় I তবে দুঃখজনকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য কতগুলি দেশ তা করেনি, শুধুমাত্র সামরিক শাখাকে তারা চিহ্নিত করেI
যুক্তরাষ্ট্র সার্বিয়ার এই প্রতিশ্রূতিকে স্বাগত জানাচ্ছে I পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও, ইউরোপে ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী গ্রূপটির ক্ষমতা হ্রাসের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেনI
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর যে সংস্থাকে ইরানের মুখ্য সন্ত্রাসী মিত্র বলে চিহ্নিত করে, ২০১২ সালে বুলগেরিয়ায় হেজবুল্লাহ গোষ্ঠীর যে হামলায় ৬জন নিহত হয়েছিলেন এবং তেমনি ওই একই বছর সাইপ্রাসে একটি হামলার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া হয় এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রূপটির ক্ষমতা হ্রাস করা বাঞ্ছনীয় ছিল I এছাড়াও পররাষ্ট্র দপ্তরের সাম্প্রতিক বার্ষিক সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ইরান সরকার বিগত বছরগুলিতে ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশে ইরানের ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উৎসাহ দান অব্যাহত রেখেছেI
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম এবং আলবেনিয়া, তাদের নিজ নিজ এলাকায় সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ত, ইরানি সরকারি কর্মকর্তাদের হয় গ্রেফতার বা বহিষ্কার করেছেI
সার্বিয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী,মাইক পম্পেও বলেন, সন্দেহ নেই যে হেজবোল্লাহদের ইউরোপীয় তৎপরতায় এখন আবর্জনা নিক্ষিপ্ত হবেI
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেন, তাঁর কথায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় দেশগুলির প্রতি হেজবুল্লাহ সংগঠনকে শনাক্ত বা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার এবং সেই সত্যকে মানবার আবেদন জানাচ্ছে যে,এটা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তথাকথিত সামরিক ও রাজনৈতিক কোনো শাখা নয়I
আমরা ইউরোপের সকল দেশ ও অন্যত্র সবার কাছে হেজবুল্লাহ সংগঠনের সক্রিয়বাদী, নিয়োগকারী ও অর্থ যোগানদারীদের তাদের স্বস্ব এলাকায় তৎপরতায় বাধা দিতে, যে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছিI