Accessibility links

Breaking News

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২২


বাইডেন চীনের মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন ( ফাইল ছবি)
বাইডেন চীনের মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন ( ফাইল ছবি)

১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়। ঐ ঘোষণাপত্রটিই ছিল মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রথম বৈশ্বিক ঘোষণা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের মাত্র তিনবছর পর, এবং বেসামরিক মানুষজনের বিরুদ্ধে সংঘটিত ঘৃণ্য অপরাধগুলোতে তখনও যখন সকলেই হতবাক, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ একগুচ্ছ সর্বজনীন মানবাধিকারকে লিখিত আকার দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রটি এই প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা যে, সব মানুষই স্বাধীন এবং মর্যাদা ও অধিকারের ক্ষেত্রে সমকক্ষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে, যা কিনা ঘোষণাপত্রটির প্রথম অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। ঘোষণাপত্রটি ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়। ঘোষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইন সহ মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক প্রস্তাব প্রস্তুতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

তৎকালীন নবগঠিত জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনটিকে স্মরণ করতে, ১৯৫০ সাল থেকে ১০ ডিসেম্বরকে বার্ষিকভাবে মানবাধিকার দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারটি সেই বছরের বিজয়ীর হাতে এই দিনেই আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় এবং প্রতিবছরের উদযাপনকে মানবাধিকারের কোন ভিন্ন অভিমুখকে নিবেদিত করা হয়। এই বছরের মূলভাবটি হল “সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা, এবং ন্যায়বিচার”।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি এই নথিটির ভিত্তিগত দিকটি ব্যাখ্যা করেন। “এই [মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাটির] মধ্যে সব মানুষের ভেতরের অন্তর্নিহিত মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সংরক্ষিত আছে – তা সে যেই হোক না কেন, সে যেখান থেকেই আসুক না কেন, বা সে যাকেই ভালবাসুক না কেন। এটি একটি ভিত্তিস্থাপনকারী নথি, যা কিনা এমন এক সত্যের ঘোষণা দেয় যেটিকে প্রায়শই উপেক্ষা বা অবজ্ঞা করা হয় – যা হল যে, সব মানুষই স্বাধীন এবং মর্যাদা ও অধিকারে সমকক্ষ হয়ে জন্মায়। এই সর্বজনীন আদর্শের শেকড় হতে জন্ম নিয়েছে পরিস্থিতি পাল্টে দেওয়ার মত মানবাধিকার বিষয়ক একাধিক চুক্তি, এবং স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি হিসেবে সকলের জন্য সমতা ও মর্যাদার উন্নয়ন করার এক বৈশ্বিক অঙ্গীকার।”

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “সমগ্র বিশ্ব বিবেচনায় আমাদের এখনও এই লক্ষ্য অর্জন বাকি রয়েছে, এবং আমাদের অবশ্যই এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে আমরা ইতিহাসের গতিপথকে পাল্টে ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে রক্ষিত অভিন্ন মূল্যবোধগুলোর আরও কাছে নিয়ে আসতে পারি। ঠিক যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমরা সর্বজনীন মানবাধিকারের স্বীকৃতির জন্য সুপারিশ করেছিলাম, [ঠিক সেভাবেই] যুক্তরাষ্ট্র আজও সকল মানুষের মানবাধিকার উন্নয়নে আমাদের অঙ্গীকারে অবিচল রয়েছে – এবং আমাদের শক্তির উদাহরণ ব্যবহার করে নয় বরং আমাদের উদাহরণের শক্তি ব্যবহার করে তাতে নেতৃত্ব দিতে।”


[এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে]

XS
SM
MD
LG