ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী ঘোষণাপত্রগুলোর একটি, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হওয়ার দিনটিকে সম্মান জানানোর জন্য এই তারিখ বেছে নেওয়া হয়।
এ’বছর এই ঘোষণাপত্রটির ৭৫ বছর পূর্ণ হল।
এটি মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রথম বিশ্বব্যাপী ঘোষণাপত্র ছিল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাবলি থেকে ত্বরান্বিত হয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়ঙ্কর অপরাধ দেখে আতঙ্কিত হয়ে, অনতিবিলম্বে সার্বজনীন মানবাধিকারের একটি সংকলন লিপিবদ্ধের কাজ শুরু করে।
চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রটি এই ভাবনার উপর ভিত্তি করে সংকলিত হয় যে, সকল মানুষ স্বাধীনভাবে ও সম মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, যেমনটি প্রথম অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
এই ঘোষণাপত্রটি, যা ১৯৫০ সালে কার্যকর করা হয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিলের প্রস্তুতিকে অনুপ্রাণিত করে।
আজ, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রটি বিশ্বের সবচেয়ে অনুবাদকৃত দলিল।
এরপর ১৯৫০ সাল থেকে, প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে, জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনকে স্মরণ করার জন্য, যা ঘটনার সময়ে মাত্র তিন বছর বয়সী ছিল।
এই দিনে, নোবেল শান্তি পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই বছরের বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এবং প্রতি বছর, মানবাধিকারের একটি ভিন্ন দিককে উৎসর্গ করে দিনটি উদযাপন করা হয়।
এই বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে "ভবিষ্যতের জন্য মানবাধিকার সংস্কৃতিকে একত্রিত করা এবং টিকিয়ে রাখা।"
প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, "মানবাধিকার দিবসে এবং মানবাধিকার সপ্তাহ চলার সময়ে, আমরা এই পবিত্র ধারণাটিকে স্মরণ করি এবং পুনর্নিশ্চিত করি যে, প্রতিটি মানুষকে সমানভাবে, অন্তর্নিহিত মর্যাদা এবং অবিচ্ছেদ্য অধিকার সম্পন্ন করে সৃষ্টি করা হয়েছে।"
"এই ধারণাটিই আমেরিকার প্রতিষ্ঠার মূল ভাবনা ছিল। … এবং আজ, এই ধারণাটি লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে স্পন্দিত হয় যারা মানুষ হিসাবে আমাদের প্রাপ্য সহজাত স্বাধীনতার জন্য মিছিল, লড়াই এবং আত্মত্যাগ করে।"
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, "সারা বিশ্বে — চীন থেকে বার্মা, আফগানিস্তান থেকে ইরান, ইথিওপিয়া থেকে ইউক্রেন এবং আর অনেক দেশে — সাহসী মানুষরা ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, তাদের জীবনের হুমকির মধ্যেও দৃঢ় অবস্থান করছে এবং তাদের মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলছে।”
"যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে এই নিপীড়ন এবং অবিচারের মুখে তাদের মৌলিক মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা সাহসী নারী এবং পুরুষদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে - এবং আমরা সবসময়ই থাকব।"
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)