Accessibility links

Breaking News

ম্যালেরিয়া দিবস ২০২৪


একজন নার্স কেনিয়ার লুমুম্বা হাসপাতালে শিশুকে ম্যালেরিয়ার ভাক্সিন দেয়ার জন্য সিরিঞ্জ প্রস্তুত করছে। ফাইল ফটোঃ ১ জুলাই, ২০২২।
একজন নার্স কেনিয়ার লুমুম্বা হাসপাতালে শিশুকে ম্যালেরিয়ার ভাক্সিন দেয়ার জন্য সিরিঞ্জ প্রস্তুত করছে। ফাইল ফটোঃ ১ জুলাই, ২০২২।

পঁচিশে এপ্রিল হল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ দিনটি বার্ষিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ম্যালেরিয়া অ্যানোফিলিস মশা দ্বারা সংক্রামিত হয়। এটি একটি গুরুতর কিন্তু চিকিত্সাযোগ্য এবং প্রতিরোধযোগ্য অসুস্থতা। তা সত্ত্বেও, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ করে।

ইউএস গ্লোবাল ম্যালেরিয়া বিষয়ক সমন্বয়কারী ডঃ ডেভিড ওয়ালটন একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে বলেন, “ম্যালেরিয়া আসলেই বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আফ্রিকা মহাদেশে এটি বেশি দেখা দেয়,”

“গত বছর ম্যালেরিয়ায় প্রায় ৬০৮,০০০ জন লোক মারা গেছে এবং প্রায় ২৫ কোটি আক্রান্তের ঘটনা আছে।”

এই মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে পঁচাত্তর শতাংশই ছিল পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে, বলেন ডঃ ওয়ালটন। আর “ইউ. এস. প্রেসিডেন্ট'স ম্যালেরিয়া ইনিশিয়েটিভ হল বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি।”

“আমরা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সাথে একটি আন্তঃ-এজেন্সি সহযোগিতা। আর মূলত, অংশীদার দেশ এবং তাদের জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও চিকিত্সা করার উপায় বের করতে বিশ্বের ৩০টি অংশীদার দেশের সাথে কাজ করছি।”

ডঃ ওয়ালটন বলেন, এর অস্তিত্বের ১৯ বছর সময় ধরে, ইউ. এস. প্রেসিডেন্ট'স ম্যালেরিয়া ইনিশিয়েটিভ ম্যালেরিয়া এবং ম্যালেরিয়া ছড়ায় এমন মশাগুলির সাথে সম্পর্কিত জটিলতা নিয়ে কাজ করে বেঁড়ে উঠেছে এবং বিকশিত হয়েছে।

“আমরা অনেক নতুন অগ্রগতি পেয়েছি যখন ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা ভাবি। নতুন ওষুধ এসেছে, নতুন কীটনাশক এসেছে, কীটনাশক মানুষের বাড়িতে স্প্রে করা যায়, সাথে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মশারীতে ব্যবহার করা যায় উভয় ধরণের কীটনাশকও রয়েছে।

তবে, আমি মনে করি নতুন উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে আনন্দপূর্ণ বিষয় যা আমরা চিন্তা করি তা হল দুটি, একটি নয়, ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে দুটি নতুন ভ্যাকসিন।

এই ভ্যাকসিনগুলি ইতিমধ্যেই মালাউই, কেনিয়া এবং ঘানার ২০ লক্ষেরও বেশি শিশুকে টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেই টিকা দেওয়াতে একেবারে অবিশ্বাস্যরকম সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।”

ডাঃ ওয়ালটন বলেন, “ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভবিষ্যত সত্যিই একটি জটিল ব্যাপার,”

“আমরা যারা ইউ. এস. প্রেসিডেন্ট'স ম্যালেরিয়া ইনিশিয়েটিভ-এর সাথে যুক্ত, আমাদের জন্য, ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, আমরা মনে করি, মৌলিকভাবে জয়ী হতে পারব। … আমরা একটি ক্রান্তিলগ্নে আছি।

অনেক সুযোগ এবং অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আমরা সত্যিই এক ধরণের বিশেষ সময়ের মধ্যে আছি।

আর আমাদের মৌলিক লক্ষ্য হলো মশার কামড়ে যেন কোনো শিশুর মৃত্যু না হয়। আমরা মনে করি যে এটি করা সম্ভব। আমরা এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে উৎসাহী।”

(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)

XS
SM
MD
LG