ছাত্র বিক্ষোভের উপর সরকারী দমন-পীড়ন চালানোর জন্য তার শাসনের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ অগাস্ট আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বিক্ষোভের সময় কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয় এবং আরও কয়েকশত মানুষ আহত হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শিঘ্রই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ জুলাই থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয় এবং পরে প্রায় প্রতিদিনই সারাদেশের অন্যান্য ক্যাম্পাস ও শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে, নিরাপত্তা বাহিনী, বিক্ষোভকারী এবং সরকারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়তে থাকে এবং বাংলাদেশ সরকার আধাসামরিক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করে। এই ব্যাটালিয়নের উপর ২০২১ সালে “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগের” পরে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সরকারের কোটা ব্যবস্থার অবসানের আহ্বান জানায়। এ কোটা ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য অর্ধেকেরও বেশি সিভিল সার্ভিস পদ সংরক্ষিত ছিল। এই লোভনীয় পদগুলি চাকরির নিরাপত্তা এবং উচ্চতর বেতন নিশ্চিত করে এবং বিক্ষোভকারীরা মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের দাবি করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
“আমরা সকল পক্ষকে আরও সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক বেশি প্রাণ হারিয়েছে, এবং আমরা সামনের দিনগুলিতে শান্ত ও সংযমের আহ্বান জানাই। আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যে কোনো পরিবর্তন পরিচালনার আহ্বান জানাই।”
মুখপাত্র মিলার আরও বলেন, “আমরা সপ্তাহান্তে এবং আগের সপ্তাহগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হতাহত এবং আহত হবার খবরে গভীরভাবে দুঃখিত। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।”
মিঃ মিলার বলেন, “আমরা এখান থেকে কোন দিকে যাব সেটা বিবেচনা করলে আমরা যা দেখতে চাই তা হল গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা। আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশি জনগণকে তাদের নিজস্ব সরকার বেছে নিতে এবং সামনের দিন ও সপ্তাহগুলোতে আমরা সেটাই দেখতে চাইবো।”
(যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)