Accessibility links

Breaking News

ভারতের সাথে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্য চারটি ক্ষেত্র 


ইলেকট্রিশিয়ান ভারতের চেন্নাইয়ের উপকণ্ঠে তিরুভাল্লুর জেলার হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজ ফ্যাক্টরির ভিতরে ৫০০ কিলোওয়াট ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমের আউটপুট ব্রেকারের প্যারামিটার পরীক্ষা করছেন, মঙ্গলবার, জুলাই ১৬, ২০২৪।
ইলেকট্রিশিয়ান ভারতের চেন্নাইয়ের উপকণ্ঠে তিরুভাল্লুর জেলার হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজ ফ্যাক্টরির ভিতরে ৫০০ কিলোওয়াট ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমের আউটপুট ব্রেকারের প্যারামিটার পরীক্ষা করছেন, মঙ্গলবার, জুলাই ১৬, ২০২৪।

হাডসন ইনস্টিটিউটে সাম্প্রতিক বক্তৃতায়, ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি রিচার্ড ভার্মা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সহযোগিতার জন্য চারটি ক্ষেত্রের রূপরেখা প্রদান করেন।

তিনি প্রথম যে ক্ষেত্রটি তুলে ধরেন তা হল উদীয়মান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্র।

“এর মানে হল যে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অংশীদারিত্বে এই নতুন প্রযুক্তি সীমান্তগুলি তাদের মূলে অন্তর্ভুক্ত করবে: পরিচ্ছন্ন জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ত্বরান্বিত করা; চৌকস এবং আরও কার্যকর ফসল চাষের জন্য কৃষকদের কাছে নতুন প্রযুক্তি সরবরাহ করা; বৃহত্তর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ভ্যাকসিন উন্নয়ন এবং পরবর্তী মহামারী প্রতিরোধে একসাথে কাজ করা; গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলির জন্য আমাদের সরবরাহ চেইন নিশ্চিত করা এবং সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদনের উত্স এবং নির্ভরযোগ্যতা বৈচিত্র্যময় করা; যথোপযুক্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর প্রতিশ্রুতি প্রদান করা।”

ডেপুটি সেক্রেটারি ভার্মা বলেন, দ্বিতীয় লক্ষ্য হল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জনগণের জন্য বৃহত্তর শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রদানের জন্য বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা:

“বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ এবং আগামী দশকে ভবিষ্যত অর্থনৈতিক উৎপাদন হবে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া, এবং দু'দেশের মাঝা-মাঝি সব জায়গায়। তবে নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থাও গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি বাস্তব এবং উপস্থিত। বিগত কয়েক দশকে আমরা যা অর্জন করেছি তা রক্ষা করার জন্য আমাদের কাছে থাকা সকল পন্থা ব্যবহার করতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা যেমন কোয়াডকে সমর্থন করাও এর অন্তর্ভুক্ত। আসিয়ান, এপেক এবং অবশ্যই জাতিসংঘের মতো বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান নিয়েও আমাদের আরও বেশি দৃঢ়সংকল্পভাবে কাজ করতে হবে।”

সেক্রেটারি ভার্মা বলেন, “অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক দিক থেকে আমাদের অবশ্যই স্বচ্ছ, ন্যায্য এবং উন্মুক্ত নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়ার দিকে কাজ করতে হবে, যেখানে ব্যবসাগুলি একটি ন্যায্য এবং সমান সুযোগ নিয়ে পরিচালনা করতে পারে, চাকরির সুযোগ তৈরি করে এবং উভয় দেশে মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সমাধান করে।”

ডেপুটি সেক্রেটারি ভার্মা বলেন: শেষ লক্ষ্যটি হল মানুষের সম্পর্ক দৃঢ় করা।

“এ কারণেই আমরা ভারতে নতুন কনস্যুলেট খুলছি এবং আমরা ভিসার জন্য অপেক্ষা করার সময় এবং ভিসার ব্যাকলগ কমাতে এত কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই কারণেই আমরা শিল্প, খেলাধুলা, সংস্কৃতি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আরও অনেক কিছুতে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করেছি।”

ডেপুটি সেক্রেটারি ভার্মা বলেন, “যদি আমরা আত্মতুষ্ট না হই, এবং গত ২৫ বছরের সাম্প্রতিক অর্জনগুলোকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমাদের সামনের বছরগুলো আরও ভালো, আরও শক্তিশালী এবং আরও বেশি প্রভাবশালী হতে পারবে।”

(এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)

XS
SM
MD
LG