Accessibility links

Breaking News

মুক্ত বক্তব্য প্রচার এবং তথ্য বিকৃতি উন্মোচন


গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টারের বিশেষ দূত এবং সমন্বয়কারী জেমস রুবিন। ফাইল ফটো।
গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টারের বিশেষ দূত এবং সমন্বয়কারী জেমস রুবিন। ফাইল ফটো।

গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টারের বিশেষ দূত এবং সমন্বয়কারী জেমস রুবিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলোর সাথে একটি অঘোষিত তথ্য যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।

সম্প্রতি 'গণপ্রজাতন্ত্রী চীন কিভাবে বৈশ্বিক তথ্য পরিবেশকে পুনর্নির্মাণ করতে চায়' শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে, এই দ্বন্দ্বে চীন যে সকল পদ্ধতি এবং কৌশল অনুসরণ করে তা তুলে ধরা হয়েছে।

বিশেষ দূত রুবিন বলেন, বেইজিং বিশ্বব্যাপী তথ্য পরিবেশকে বিকৃত করার চেষ্টা করার জন্য পাঁচ ধরণের প্রধান প্রতারণামূলক এবং দমনমূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে:

“সেগুলি হল: প্রচারণা এবং সেন্সরশিপ সুবিধা ব্যবহার করা; ডিজিটাল স্বৈরতন্ত্র প্রচার করা; আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বগুলোকে ব্যবহারকরা; বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিজ দিকে টানার পাশাপাশি যারা চীনের বিরুদ্ধে কথা বলে বা চীনের ইচ্ছার বিরোধিতা করে, তাদের উপর চাপ সৃষ্টি ; এবং সবশেষে, চীনা ভাষার গণমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।”

এই স্বৈরতন্ত্র শাসনব্যবস্থাগুলো, চীন, ক্রেমলিন, ইরান সরকারের মধ্যে একটি মৌলিক অসমতা রয়েছে। তারা তাদের তথ্যপ্রবাহে প্রবেশাধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশেষ দূত রুবিন উল্লেখ করে বলেন:

“তারা বিশ্বের বাকি অংশের তথ্যপ্রবাহে মুক্তভাবে কার্যক্রম চালাতে পারে, তথ্য বিকৃত করতে পারে এবং যেকোনো উপায়ে সেখানে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার সময় আমাদের এই অসাম্যতা খেয়াল করতে হবে এবং এই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থাগুলোর কার্যকলাপের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মিথ্যা সমতুল্য টানার যে কোনও প্রচেষ্টা নিয়েও খেয়াল রাখতে হবে।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র “একটি মুক্ত তথ্য পরিবেশ তৈরি করতে, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিতে, এমন একটি তথ্য পরিবেশ তৈরি করতে অর্থ ব্যয় করছে যেখানে সাংবাদিকরা সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারে,” বলেন বিশেষ দূত রুবিন:

“তাদের অপছন্দনীয় বক্তব্যকে দমনের মাধ্যমে তথ্যপ্রবাহ দখল করার প্রচেষ্টা এবং মিথ্যাভাবে তাদের পছন্দের বর্ণনাগুলি নিয়ে কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করার থেকে এই পদক্ষেপ বেশ আলাদা।”

বিশেষ দূত রুবিন তথ্যের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করার গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং বলেন, “মতামত পছন্দ না হলে সেগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য সীমা অতিক্রম করা যাবে না। বরং, চীন, রাশিয়া, ইরান এবং অন্যরা যখন মিথ্যা বক্তব্য, বা তাদের নিজেদের ধারণা ও বিশ্বাসকে প্রতিফলিত ও শক্তিশালী করার পরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে তথ্য জগতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে তখন তা শনাক্ত করেন।”

বিশেষ দূত রুবিন বলেন, “তারা যা করার চেষ্টা করছে এবং আমরা যা করার চেষ্টা করছি তার মধ্যে এটাই পার্থক্য। আর তা হল এমন একটি তথ্য জগত তৈরি করা যেখানে আমাদের ভিন্নমতগুলোকে স্বাগত জানানো হয়।”

(এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিমত সম্বলিত একটি সম্পাদকীয়)

XS
SM
MD
LG