Accessibility links

 
ন্যায্য বাণিজ্যের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রসঙ্গে
Breaking News

ন্যায্য বাণিজ্যের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রসঙ্গে


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে পারস্পরিক শুল্ক সম্পর্কিত একটি কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর তা প্রদর্শন করছেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।  
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে পারস্পরিক শুল্ক সম্পর্কিত একটি কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর তা প্রদর্শন করছেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।  

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কগুলোতে ন্যায্যতা পুনঃস্থাপন এবং অপারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করার জন্য তার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলে, “'ন্যায্য ও পারস্পরিক পরিকল্পনা' আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দীর্ঘকালীন অসামঞ্জস্য দূর করতে এবং সবক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।”

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম উন্মুক্ত অর্থনীতি। তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে, যারা শুল্ক ও করের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির জন্য তাদের বাজার বন্ধ করে রাখে। হোয়াইট হাউস লিখেছে, “এই পারস্পরিকতার অভাবটি অন্যায় এবং আমাদের বড় ও দীর্ঘমেয়াদি বার্ষিক বাণিজ্য ঘাটতিতে ভূমিকা রাখে।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিকল্পনাটির ন্যায়বিচার এবং সরলতার প্রশংসা করেন:

“তারা আমাদের উপর যতটা শুল্ক আরোপ করে, আমরা তাদের ওপর ঠিক ততটাই শুল্ক আরোপ করব। সুতরাং, বিষয়টা খুব ভালোভাবে কাজ করবে। আর আমাদের চিন্তা করতে হবে না, 'হায়, আমরা বেশি নিচ্ছি বা কম নিচ্ছি।'”

হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের ক্ষতি করেছে এমন অসামঞ্জস্যপূর্ণ শুল্কের কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে: তাদের মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত গাড়ির উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্ক, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ২.৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে; ইথানল আমদানিতে ব্রাজিল ১৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ২.৫ শতাংশ শুল্কের তুলনায় অনেক বেশি।

হোয়াইট হাউস বলে, “শুধুমাত্র গত কয়েক বছরে অবিনিময়যোগ্য বাণিজ্যিক বাধা বৃদ্ধির কারণে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এখন কৃষি ক্ষেত্রে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে ভুগছে। ”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “শুল্ককে ন্যায্য করার উপায় হলো পারস্পরিকতা।” তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পুরোপুরি এড়ানোর একটি নিশ্চিত উপায় রয়েছে:

“তারা এখানে একটি কারখানা, প্ল্যান্ট বা যেকোনও কিছু নির্মাণ করতে পারে, এবং এর মধ্যে চিকিৎসা, গাড়ি, কম্পিউটারা মাইক্রোচিপস এবং সেমিকন্ডাক্টর সবকিছু অন্তর্ভুক্ত। এতে সবকিছু অন্তর্ভুক্ত। যদি আপনি এখানে কিছু নির্মাণ করেন, তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না। আর আমি মনে করি সেটাই ঘটতে চলেছে। আমি মনে করি আমাদের দেশ কাজের সুযোগে ভরে যাবে।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন পারস্পরিক শুল্ক সংক্রান্ত তার নির্বাহী আদেশটি “তার স্বাক্ষরিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” তিনি আরও বলেন, এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালীই করবে না, “এটি অন্যান্য দেশকেও শক্তিশালী করতে পারে। আপনারা জানেন, অন্যান্য দেশ একটি শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র চায়। তারা একটি শক্তিশালী আমেরিকা চায়। আর আমি মনে করি এটি আমাদেরকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলবে।”

(এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)

XS
SM
MD
LG