Accessibility links

Breaking News

আইসিসের বিরুদ্ধে অভিযানের মাইলফলক বিশ্বকে নিরাপদ করেছে


আইসিস নেতা আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কোরায়শীর বিরুদ্ধে বিশেষ বাহিনীর অভিযান হোয়াইট হাউজে বসে টিভিতে দেখছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। (ছবি - রয়টার্স)
আইসিস নেতা আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কোরায়শীর বিরুদ্ধে বিশেষ বাহিনীর অভিযান হোয়াইট হাউজে বসে টিভিতে দেখছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। (ছবি - রয়টার্স)

নৃশংস ও প্রতিশ্রুত এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে এবং বিশ্ব এখন এক নিরাপদ স্থান।

গত মাসে সিরিয়ার আতমেহ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে মারা যায় বৈশ্বিক আইসিস নেতা আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কোরায়শী, ওরফে হাজি আব্দুল্লাহ বা মুহাম্মদ সাঈদ আব্দ আল রহমান আল মাওলা। যে বাড়িটিতে সে লুকিয়ে ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী সেটি ঘিরে ফেললে, জীবনের বর্বরতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আব্দুল্লাহ তার আত্মঘাতী পরিধানটিতে বিস্ফোরণ নিজেকে এবং দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের সকলেকে হত্যা করে।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে আইসিসের প্রাক্তন নেতা আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর পর সে দলের প্রধান হয়। একই প্রক্রিয়ায় আল বাগদাদি একটি আত্মঘাতী পরিচ্ছদে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তার তিন সন্তানকে হত্যা করে।

ফেব্রুয়ারির অভিযানের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আব্দুল্লাহ'র, "উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরাকে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গণহত্যায় প্রধান ভূমিকা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তার বর্বরতা এবং নিরপরাধীদের হত্যার পর বিশ্বব্যাপী আইসিস সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী দলগুলোর বিস্তার তত্ত্বাবধান এবং সম্প্রতি সিরিয়ার আইসিস সন্ত্রাসী বন্দিদের একটি জেলখানায় হামলায় তার যোদ্ধাদের নির্দেশ দেয়াসহ, তার বর্বরতার ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, “সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক বাহিনীর আমাদের সাহসী সহযোগীরা এসবের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে জবাব দিয়েছেন"।

অভিযান পরিচালনাকারী যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর সদস্যদের নির্ভুলতা ও প্রস্তুতির প্রশংসা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, অসামরিক লোকজন হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য তিনি আবদুল্লাহর ওপর একটি বিমান হামলা বাতিল করে দেন এবং এর পরিবর্তে "নিজেদের জনগণের ওপর বড় ঝুঁকি নিয়ে একটি বিশেষ বাহিনী দ্বারা অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন”।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ঘোষণা করেন যে আব্দুল্লাহর মৃত্যু "আইসিসের ওপর চরম আঘাত এবং আমাদের দেশ ও জনগণকে নিরাপদ রাখতে সহায়ক হয়েছে; সে এখন যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে, তার হুকুম দেয়ার সুযোগ নেই এবং সে আর কোনও জীবনের প্রতি হুমকি নয়"।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই ঘটনাকে “আইসিসের ধ্বংস ও পরাস্ত করার বৈশ্বিক যুদ্ধে অভাবনীয় বিজয়” বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এই অভিযান “ছিল আইসিসকে পরাস্ত করতে বিশ্ব কোয়ালিশন সদস্যদের বৃহত্তর মিশনের একটি অংশ, এবং সে লড়াই অব্যাহত থাকবে"।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনও আইসিসের বিরুদ্ধে চাপ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, সেই বিবেচনায়, আব্দুল্লাহর মৃত্যু একটি অভিনন্দনযোগ্য বিষয় হিসাবে প্রমাণিত হওয়া উচিৎ। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, "বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসীদের কাছে তা কঠোর বার্তা পৌঁছে দিয়েছে”। “আমরা তোমাদের পিছু ধাওয়া করবো এবং খুঁজে বের করবো”।

XS
SM
MD
LG