২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে রাশিয়ার সম্পূর্ণ এবং বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসনের পর ইউক্রেনে তার চতুর্থ সফরে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থের নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
“যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে তার নিজের ভবিষ্যত তৈরির ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের নৃশংস এবং চলমান যুদ্ধের এই মহাসংকটে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করেছে যা আগের চেয়ে প্রতিনিয়ত আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
এই থোক সাহায্যের মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষার জন্য উল্লেখযোগ্য সহায়তা বাবদ ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার; দীর্ঘমেয়াদী সামরিক প্রয়োজনীয়তায় সহায়তার জন্য বিদেশী সামরিক অর্থায়নে ১০ কোটি ডলার ; এবং ৯ কোটি ৫ লক্ষ ডলার মানবিক মাইন অপসারণ সহায়তা।
ইউক্রেনে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাইনপোতা রয়েছে... রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে বছরের পর বছর, এমনকি কয়েক দশক ধরে ঝুঁকির হুমকিতে ফেলেছে।"
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে মুক্তাঞ্চলে আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টার জন্য ৩০ কোটি ডলার ; এবং দুর্নীতি বিরোধী, আইনের শাসন ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে মূল সংস্কার প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য নিয়োজিত সংস্থাগুলির সহায়তার জন্য ২০ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার প্রদান করবে।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর প্রবীণদের সহায়তার জন্য মুষ্টিমেয় ক্ষমতাশালী লোকদের বাজেয়াপ্ত সম্পদের ৫৪ লক্ষ ডলার স্থানান্তর করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "যারা পুতিনের আগ্রাসনের যুদ্ধকে সক্ষম করেছে তাদের এর জন্য মূল্য দিতে হবে।"
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান রুশ আগ্রাসনের মোকাবিলায় ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থনকে সর্বাধিক বাড়িয়ে তুলার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে এমন একটি শক্তি তৈরি করতে সহায়তা করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা ভবিষ্যত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা করতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, ইউক্রেনের জন্য জি-সেভেনের সহায়তা ঘোষণার মাধ্যমে আরও ২৮টি দেশ একই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে:
“তারা স্বীকার করে... যে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সমগ্র ইউরো-আটলান্টিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং প্রকৃতপক্ষে যে নীতিগুলিকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, সেইসাথে ইউক্রেনের জীবন ও জীবিকার প্রতিও যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেই কারণেও এটি বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
এই ২৯টি দেশ যারা দীর্ঘমেয়াদে ইউক্রেনকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা একসাথে একটি দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার সমন্বয় করবে এবং সেই বোঝা ভাগ করে নেবে।”
ইউক্রেনীয় জনগণের উদ্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “যেমন আমরা গত ২০ মাস আপনাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের সাথে দাঁড়িয়েছি, তেমনি আপনাদের ভবিষ্যত নির্ধারণের সময় এবং একটি মুক্ত, পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে সক্ষম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন পুনর্গঠন করার সময়ও আমরা আপনাদের সাথে থাকব। "
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)