হামাস যখন ৭ অক্টোবর ইসরাইলের উপর একটি ধ্বংসাত্মক হামলা চালানোর পর তাতে একটি যুদ্ধের সূচনা হয়।
আর যথারীতি, উভয় পক্ষের বেসামরিক জনগণই তার মূল্য পরিশোধ করছে।
হামাসের প্রাথমিক আক্রমণে এবং ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলার ফলে ৩০টিরও বেশি দেশের হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
বোমা হামলা শুরু হওয়ার আগে গাজার বেসামরিক জনগণকে সরে যাওয়ার জন্য ইসরাইল স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছিল।
কিন্তু হামাস লোকজনকে তাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয় এবং বাড়ি ছেড়ে তারা যেন যেতে না পারে তাই রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
স্পষ্টতই, বেসামরিক জনগণকে জঙ্গিদের জন্য মানব ঢাল হিসেবে কাজ করার কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, "আমরা জানি হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং হামাসের দ্বারা সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের জন্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক ব্যক্তিরা দায়ী নয়।ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে হবে।
গাজা ভূ-খন্ড, যা ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল বরাবর ৪১- কিলোমিটার-দীর্ঘ এবং ৬- থেকে ১২-কিলোমিটার-প্রশস্ত ভূমি, এর মোট আয়তন ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার।
এটি ২৩,৭৫,০০০ এরও বেশি লোকের বাসস্থান।
প্রায় দশ লক্ষ ফিলিস্তিনি সেখানে বাস্তুচ্যুত হয়েছে যাদের গাজা ছাড়ার কোনো উপায় নেই, আর এর মানে তাদের বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সাহায্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "আমরা মিশর, ইসরাইল, এবং সমগ্র অঞ্চল জুড়ে অংশীদারদের সাথে আর পাশাপাশি জাতিসংঘের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় অব্যাহত রেখেছি যাতে এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায় যা হামাস বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে উপকৃত না করে গাজার বেসামরিক লোকদের কাছে স্থায়ীভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সক্ষম হয়।"
“যুক্তরাষ্ট্র গাজা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলার মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা আমরা গত আড়াই বছরে ফিলিস্তিনি জনগণকে যে সহায়তা দিয়েছি তা সহ সর্বমোট ১৬০ কোটি ডলারেরও বেশি।
এটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এখন পর্যন্ত বৃহত্তম একক দাতা-দেশ করে তুলেছে।
আমরা গাজার মানবিক পরিস্থিতির জন্য জাতিসংঘের আবেদন পূরণে আমাদের সাথে যোগদান করার জন্য সকল দেশকে, বিশেষ করে যাদের দেওয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে, তাদের প্রতি আহ্বান জানাই।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, "এই সংঘাতে এবং প্রতিটি সংঘাতে নিরপরাধ জীবন বাঁচানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে এই বিষয়ে আমাদের মূল বিশ্বাস যে প্রতিটি বেসামরিক জীবন সমানভাবে মূল্যবান। বেসামরিক জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো শ্রেণিবিন্যাস নেই।
একজন বেসামরিক নাগরিক তার জাতীয়তা, জাতিগোষ্ঠী, বয়স, লিঙ্গ, বিশ্বাস নির্বিশেষে একজন বেসামরিক নাগরিক”।
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)