প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে এক পার্শ্ব-বৈঠকে মিলিত হন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, "গত কয়েক মাস ধরে আমরা আমাদের টিমের মধ্যে উচ্চ-স্তরের কূটনীতির যে ভিত্তি তৈরি করেছি, আমি বিশ্বাস করি, আমরা এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছি।"
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উদ্ধৃত চুক্তির প্রথম বিষয়টি হ'ল মাদকবিরোধী সহযোগিতা পুনরায় শুরু করা।
"আমরা চীন থেকে পশ্চিম গোলার্ধে পূর্বসূচক রাসায়নিক উপাদান এবং পিল প্রেসের প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।"
চুক্তির দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি হল সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর উচ্চ-পর্যায়ের যোগাযোগ পুনরায় শুরু করা।
জো বাইডেন বলেন, “আমরা সরাসরি, খোলামেলা , স্পষ্ট প্রত্যক্ষ যোগাযোগে ফিরে এসেছি।দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন ধরণের মারাত্মক বড়রকমের ভুল ধারণা... চীন বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের সাথে সত্যিকারের বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।"
তৃতীয়ত, দুই নেতা তাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
"এবং যেমনটি আমি সবসময় করি, আমি এমন বিষয়গুলি উত্থাপন করেছি যেসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, গণচীনের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন, যার মধ্যে রয়েছে আটককৃত... এবং প্রস্থান-নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, মানবাধিকার এবং দক্ষিণ চীন সাগরে জবরদস্তিমূলক কার্যকলাপ।"আমি তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছি।"এটা বিশ্বের জন্য দেখা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা আমেরিকার কূটনীতির সর্বোত্তম ঐতিহ্য অনুসরণ করে এই দৃষ্টিভঙ্গিটিই প্রয়োগ করছি।"
"আমরা আমাদের প্রতিযোগীদের সাথে কথা বলছি... একে অপরের সাথে সম্পুর্ণ ... স্পষ্টরূপে, যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা বজায় রাখার এবং আমেরিকার জনগণের জন্য অবদান রাখার মূল উপাদান হিসেবে। "
(এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)