জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ভ্লাদিমির ভোরনকভের মতে, আইএসআইএসকে পরাজিত করার জন্য গ্লোবাল কোয়ালিশন সিরিয়ায় আইএসআইএস এবং তার স্থানীয় অংশীদারদের হুমকি নির্মূল করার সাড়ে পাঁচ বছর পর, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি আবার আফগানিস্তানের পাশাপাশি পশ্চিম আফ্রিকা এবং সাহেলে পুনরুত্থিত হয়েছে। আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট-খোরাসান, বা আইএসআইএল-কে “সমর্থনের জন্য আফগান ও মধ্য এশিয়ার প্রবাসীদের মধ্যে ঢুকে তাদের ব্যবহার করা সহ গত ছয় মাসে তাদের আর্থিক এবং লজিস্টিক সক্ষমতা উন্নত করেছে।”
একই সময়ে, তিনি উল্লেখ করে বলেন, আইএসআইএস পশ্চিম আফ্রিকা প্রদেশ এবং বৃহত্তর সাহেলে ইসলামিক স্টেট তাদের কার্যক্রমের ক্ষেত্রগুলিকে একীভূত করছে। “এই গোষ্ঠীগুলি যদি উত্তর উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের প্রভাব বিস্তার করে, মালি থেকে উত্তর নাইজেরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল তাদের কার্যকর নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে।”
জাতিসংঘে বিশেষ রাজনৈতিক বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প প্রতিনিধি, রবার্ট উড বলেন, “আফগানিস্তানের বাইরে হামলা চালানোর জন্য আইএসআইএস-খোরাসানের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র, যেমনটি আমরা দেখেছি ৩ জানুয়ারী কেরমানে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলায় এবং ২২ মার্চ মস্কোতে যার ফলে শত শত লোক মারা গিয়েছে। একইভাবে, আমরা আফ্রিকা জুড়ে সন্ত্রাসবাদের হুমকির উপর বিশেষভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করছি।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের আফ্রিকান অংশীদারদের আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদ্ধতিতে আইএসআইএস এবং আল-কায়েদা সহযোগীদের সক্ষমতা হ্রাস এবং মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাচ্ছি। সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় সক্ষম আইন প্রয়োগকারী এবং বৃহত্তর নিরাপত্তা পরিষেবার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
“যৌন এবং জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা হল একটি কৌশল যা সন্ত্রাসীরা তাদের ঘৃণ্য লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নিতে ব্যবহার করে, যা প্রস্তাব ২৭৩৪-এ নিষেধাজ্ঞা তালিকার সম্ভাব্য ভিত্তি হিসাবে স্বীকৃত ছিল।”
অ্যাম্বাসেডর উড বলেন, “সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন সহিংসতার জন্য জবাবদিহিতার পক্ষে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অগ্রাধিকার।”
“প্রস্তাব ২৭৩৪ জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা বন্ধ করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচারণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা নিরাপত্তা পরিষদ এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে এই ধরনের অপরাধ সংঘটন বা সক্রিয় করার জন্য সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রকদের এবং সহায়তাকারী সহ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে উত্সাহিত করি।
অ্যাম্বাসেডর উড বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিরাপত্তা-কেন্দ্রিক পদ্ধতির বাইরে ব্যাপক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আইএসআইএস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিস্তারকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিকার করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই সমগ্র সমাজের পদ্ধতিতে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে যা মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে সম্মান করে।”
(এটি যুক্তরাষ্টের সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)