Accessibility links

Breaking News

রোহিঙ্গাদের একটি বেদনাদায়ক বছর পূর্তি 


রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার নির্বাসনের সপ্তম বছর পূর্তিtতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় তাদের শরণার্থী শিবিরে বৃষ্টির মধ্যে জড়ো হয়। ফটোঃ ২৫ আগস্ট, ২০২৪।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার নির্বাসনের সপ্তম বছর পূর্তিtতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় তাদের শরণার্থী শিবিরে বৃষ্টির মধ্যে জড়ো হয়। ফটোঃ ২৫ আগস্ট, ২০২৪।

এই আগস্টে বার্মায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অভিযান শুরুর সপ্তম বছর পূর্ণ হয়েছে। উত্তর রাখাইন রাজ্যের মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা ২০১৭ সাল থেকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, জাতিগত নির্মূল অভিযান এবং গণহত্যা সহ ভয়ঙ্কর সহিংসতার শিকার হয়। এ সহিংসতার ফলে ৭০০,০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ২০২১ সালে বার্মার বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সশস্ত্র প্রতিরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সহিংসতা রোহিঙ্গাদের অসমনুপাতিকভাবে প্রভাবিত করে।

মর্মান্তিক এ ঘটনার ৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, “রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের নৃশংসতা শিরোনাম থেকে ম্লান হয়ে গেলেও, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বার্মার সামরিক বাহিনীর হাতে এই গণহত্যা, পুরো গ্রামে অগ্নিসংযোগ এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এই ভয়াবহ নৃশংসতা এখনও থামেনি।” তিনি ঘোষণা করে বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৬৬৯ থেকে বের হয়ে এসে অবশেষে বার্মার পরিস্থিতিকে পরিষদের কার্যক্রমের শীর্ষে রাখার সময় এসেছে।”

অ্যাম্ব্যাসাডর টমাস-গ্রিনফিল্ড প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও আশ্রয়স্থল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের উদারতার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় ব্যবস্থার জন্য এই অঞ্চলে অন্যান্য দেশের অবদানের প্রশংসা করেন।

অ্যাম্ব্যাসাডর টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, “গত সাত বছরে আমাদের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তার জন্য প্রায় ২৪০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে। এছাড়া, আমরা রোহিঙ্গা এবং সমস্ত বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ও নির্যাতনের উপর ব্যাপকভাবে নথিপত্র সংগ্রহ করেছি।”

অ্যাম্ব্যাসাডর টমাস-গ্রিনফিল্ড বার্মার সহিংসতাকারীদের জন্য একটি বার্তা প্রদান করেন: “আজ এবং প্রতিদিন আমরা বার্মার সামরিক বাহিনী, সেই সাথে সমস্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীদের বেসামরিক জনগণকে রক্ষা করার জন্য এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই৷ আর আমরা বার্মার জনগণের সাথে তাদের শান্তি, গণতান্ত্রিক শাসন এবং আইনের শাসনে ফিরিয়ে আনার প্রতি আহ্বানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন “রোহিঙ্গা গণহত্যার কথা স্মরণ” শিরোনামের একটি পৃথক বিবৃতিতে ঘোষণা করে বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য বার্মার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। একই ভাবে আমরা সকল পক্ষের প্রতি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই।”

(এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)

XS
SM
MD
LG