Accessibility links

Breaking News

যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার রক্ষার জন্য সমর্থন আরও জোরদার করেছে


যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন। ফাইল ফটোঃ ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন। ফাইল ফটোঃ ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪।

মানবাধিকার রক্ষাকারী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতিতে মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার দিয়েছেন।

“আমরা মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ও উদ্ভাবন অর্জন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষায় দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। এর মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার অগ্রাধিকারগুলো মোকাবিলা করা, যেখানে আমরা বহুপাক্ষিক নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার দিয়েছি, মানবাধিকার পরিষদের মতো জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে ফিরে যাওয়া এবং নতুন ও উদীয়মান অংশীদারদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা।”

এর ফলে আমাদের অর্জিত মাইলফলকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন আক্রমণের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে রাশিয়ার পদ স্থগিত করা, এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ, সুরক্ষিত, এবং বিশ্বাসযোগ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে বিশ্বব্যাপী ঐকমত্য গঠন করা।

আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেন, “এছাড়াও আমরা ইউরোপীয় কাউন্সিলে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কিত চুক্তি সম্ভব করেছি। এই চুক্তিটি পুরো বিশ্বের মধ্যে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সরকারগুলো যেভাবে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি সম্মান রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে তা নিয়ে একটি সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।”

আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেন, “আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে অভিনব এবং বিভিন্ন ধরনের জবাবদিহিতার পন্থা ব্যবহার করেছি।”

"আমরা আচরণের পরিবর্তন এবং লঙ্ঘনকারীদের প্রতিরোধ করার কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে আমাদের টুলকিট প্রসারিত করেছি। আমরা বাণিজ্য ও ট্রেজারি বিভাগের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেছি, যাতে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন এনএসও গ্রুপ, ইনটেলেক্সা , সাইট্রক্স, এবং অন্যান্য বিক্রেতাদের মানবাধিকার দমনকারীদের কাছে সাইবার আক্রমণ সরঞ্জাম বিক্রি করার জন্য দায়বদ্ধ করা যায়। ”

যারা বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার অপব্যবহার করে বা এই প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে আর্থিক লাভ অর্জন করে, সেসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রচেষ্টাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেন, অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র নতুন এবং উদীয়মান হুমকি সরাসরি মোকাবেলা করেছে।

“আমরা জাতিসংঘের এজেন্ডায় আন্তঃরাষ্ট্রীয় দমননীতি, বা টিএনআর অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং দেশে একটি নতুন নীতি প্রবর্তন করেছি, যার মাধ্যমে এই ধরনের দমনমূলক কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করা হবে। আমরা দুর্নীতি মোকাবেলা করতে কাজ করা মানবাধিকার রক্ষক এবং দুর্নীতি উদ্ঘাটনকারী সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য সক্রিয় কার্যক্রমগুলোতে ১ কোটি ৬০ লক্ষ ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছি।”

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষা এবং প্রচার চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভাল অবস্থানে রয়েছে।

(এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)

XS
SM
MD
LG