Accessibility links

Breaking News

কোয়াড - স্বার্থের ভিত্তিতে একটি জোট


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও (ডান থেকে দ্বিতীয়) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ সুব্রমণ্যম জয়শংকর (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়), অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশির সাথে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও (ডান থেকে দ্বিতীয়) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ সুব্রমণ্যম জয়শংকর (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়), অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশির সাথে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসের অনেক কিছুই লেখা হবে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই, সেক্রেটারি রুবিও তিনটি ইন্দো-প্যাসিফিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই তিনিটি দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কোয়াড গঠন করে।

চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একসাথে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন এবং তারা “আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা সংরক্ষণ ও রক্ষার মাধ্যমে একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল শক্তিশালী করার প্রতি সম্মিলিত অঙ্গীকার” পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা লিখেন, “আমাদের চারটি দেশ আন্তর্জাতিক আইন, অর্থনৈতিক সুযোগ, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বজায় রেখেছে, যা সামুদ্রিক ক্ষেত্রসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জনগণের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। আমরা শক্তি প্রয়োগ করে এক তরফা স্থিতাবস্থা বদলানোর যেকোনো প্রচেষ্টারও বিরোধিতা করি।"

সেক্রেটারি রুবিওর সাথে তিনজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পৃথক বৈঠকের বিবরণীতে প্রতিটি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকারের উপর জোর দেওয়া হয়।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশির সাথে বৈঠকে সেক্রেটারি রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-জাপান জোট এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি।

যখন সেক্রেটারি রুবিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সাথে সাক্ষাৎ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে যে তারা গুরুত্বপূর্ণ ও উদীয়মান প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং জ্বালানি বিষয়ে তাদের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা সহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং এবং সেক্রেটারি রুবিওর মধ্যে বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দেশের মন্ত্রী “যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার দীর্ঘস্থায়ী জোটকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে প্রশংসা করেন।”

যুক্তরাষ্ট্রের তিন মিত্রের সাথে সেক্রেটারি রুবিওর প্রথম বৈঠক তিনি একই দিনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যা বলেন তা প্রতিফলন করে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি তার মিশন সম্পর্কে স্পষ্ট: “যেকোন কিছু যা [আমেরিকাকে] আরও শক্তিশালী বা নিরাপদ বা আরও সমৃদ্ধ করবে... সেটাই হবে আমাদের লক্ষ্য।"

“আমি ধারণা করি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ তাদের জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এই সকল ক্ষেত্রে যখন আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং তাদের স্বার্থ মিলে যাবে, যা আমি আশা করি অনেক হবে, তখন আমরা তাদের সাথে কাজ করার জন্য আগ্রহী।

সেক্রেটারি রুবিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের “ বৈশ্বিক নীতির জন্য প্রধান লক্ষ্য হল শান্তির লক্ষ্য এগিয়ে নেওয়া, কারণ এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থের মধ্যে পড়ে।”

কোয়াডে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের মধ্যে এই বৈঠকগুলি তাদের সম্মিলিত লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকার প্রদর্শন করে৷

(এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)

XS
SM
MD
LG