দ্বায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। “আমেরিকার সার্বভৌমত্ব হামলার শিকার,” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন। “আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত কার্টেল, অপরাধী দল, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মানব পাচারকারী, চোরাকারবারী, বিদেশি প্রতিপক্ষ থেকে আসা অযাচাইকৃত সামরিক বয়সী পুরুষ এবং অবৈধ মাদকদ্রব্যর দখলে চলে গেছে, যা আমেরিকা সহও আমেরিকার নাগরিকদের ক্ষতি করছে।”
এই আগ্রাসনের কারণে অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নারী ও শিশু সহ অনেক নিরীহ আমেরিকান নাগরিক নৃশংস এবং অগ্রহণযোগ্য হত্যার শিকার হয়েছে। বিদেশী অপরাধী দল এবং কার্টেলরা শহরের বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ দখল করা শুরু করেছে, আমাদের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের আক্রমণ করছে এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরে আমেরিকানদের ভীত ও আতঙ্কিত করা শুরু করেছে। কার্টেলগুলি আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তের ঠিক দক্ষিণে বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, এবং এর মাধ্যমে কে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে এবং কে পারবেনা তা তারা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা অবৈধ মাদকদ্রব্যের কারণে লক্ষ লক্ষ আমেরিকান মাদকদ্রব্যের ওভারডোজে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, আমেরিকার জনগণ এবং আমেরিকার সার্বভৌম সীমান্তের অখণ্ডতার উপর এই হামলা আমাদের জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি।
এই হুমকির গুরুত্বের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে কার্যপরিচালনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক বাহিনীর ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে সহায়তা করা আবশ্যক, কংগ্রেসনাল ইনস্টিটিউটকে দেয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যাখ্যা করে বলেন:
“আমি সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছি, এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত করছি এবং সামরিক বিমানে তারা যে জায়গা থেকে এসেছিলেন সেখানে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তার সুরক্ষা দিতে, প্রতিটি রাজ্যকে অনুপ্রবেশ থেকে রক্ষা করার জন্য, এবং সঠিকভাবে আইন কার্যকর করতে আমার কর্তব্য পালন করতে, দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ অবিলম্বে এবং পুরোপুরি বন্ধ নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব।”
“আমরা প্রত্যেক দেশকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি যে তারা আমাদের লোকদের ফিরিয়ে নিবে, যাদেরকে আমরা ফেরত পাঠাচ্ছি। তাদের দেশ থেকে আসা অপরাধীরা এবং অবৈধ অভিবাসীদের আমরা ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এবং তারা তাদেরকে দ্রুত ফিরিয়ে নিবে। আর যদি তারা তা না করে, তবে তাদেরকে খুব উচ্চ অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হবে। ”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার চেয়ে আমার আর কোনও গুরুতর দায়িত্ব নেই। ”
(এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)