প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানোর সময় বলেন, “ফ্রান্স আমেরিকার সবচেয়ে পুরানো মিত্র।” আমেরিকান বিপ্লবে ফরাসি সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রকে “একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে” সহায়তা করেছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে “আমাদের নাগরিকরা ইউরোপের যুদ্ধক্ষেত্রে একসাথে রক্ত ঝরিয়েছে।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এখন ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার আরেকটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটানোর সময় এসেছে, “যা ইউরোপের মাটিকে বিধ্বস্ত করছে।”
“এখন সময় এসেছে এই রক্তপাত বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনার, এবং আমি মনে করি আমরা তা বাস্তবায়ন করব। রাশিয়া সহ আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর সেই লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের তুলনায় আমরা মাত্র এক মাসের মধ্যে অনেক বেশি অগ্রগতি করেছি। আমি প্রেসিডেন্ট [ভ্লাদিমির] পুতিন এবং প্রেসিডেন্ট [ভলোদিমির] জেলেন্সকির সাথে কথাও বলেছি।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং চূড়ান্তভাবে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।”
“আমি সন্তুষ্ট যে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও সম্মত যে শান্তি নিশ্চিত করার ব্যয় ও দায়িত্ব শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের নয়, বরং ইউরোপের দেশগুলোরও বহন করা উচিত। ইউরোপকে অবশ্যই ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেই কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিতে হবে, যা তারা করতে চায়।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, পুরো যুদ্ধের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ সহায়তা দিয়েছে। “আমরা ৩০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছি, আর ইউরোপ ব্যয় করেছে প্রায়... ১০ হাজার কোটি, যা বিশাল একটি ব্যবধান। আর যখন আমরা বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা ও অর্থ অনুদান হিসেবে দিয়েছি, ইউরোপের বেশিরভাগ সহায়তা ছিল অর্থনৈতিক ত্রাণ, যা ঋণের কাঠামোতে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের পরবর্তীতে পরিশোধ করতে হবে। ”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “ইউরোপীয়দের মতো আমিও বিশ্বাস করি যে যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের আমাদের পাঠানো সেই বিশাল পরিমাণ অর্থ ফিরে পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”
“এই কারণেই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, রেয়ার আর্থ এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় সিকিউরিটি হিসেবে রেখে ইউক্রেনের সাথে চুক্তি করা প্রয়োজন ।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “এটি আমার আশা যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঐক্য আনাই হবে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি যুদ্ধ নয়, শান্তি আনতে চাই।”
( এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অভিমত সম্বলিত সম্পাদকীয়)