প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে মনোযোগ সহকারে বলেন, বিশ্ব এখন বৃহত্তর বিশ্বজনীন এক সঙ্কটের মুখেI তিনি বলেন তাঁর কথায়, অদৃশ্য শত্রূ, চাইনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা এখন এক প্রচণ্ড যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি, যা ১৮৮টি দেশে অগণিত মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছেI
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে উদ্বৃত্ত ভেন্টিলেটরের উৎপাদন, যা প্রয়োজনে অন্যান্য দেশও ব্যবহার করতে পারবে এবং উপশমকারী ঔষধ উৎপাদন করা I এখনও অব্দি যেসব ঔষধ, পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেI
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প///
আমরা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে চলেছি, যা এই ভাইরাসকে পরাস্ত করবে, আমরা এই মহামারীর সমাপ্তি টানবো এবং সমৃদ্ধি, সহযোগিতা এবং শান্তির এক নুতন দিগন্তের সূচনা ঘটাবোI একই সঙ্গে চীনের নেতাদের তাদের অশুভ কর্মকান্ডের জন্য অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত করা হবে I
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ////
ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিকে চীন, তাদের অভ্যন্তরীন উড়ান বন্ধ করে দিয়ে, তাদের উড়ান চীন ত্যাগ করে বিশ্বকে সংক্রমিত করতে সহায়তা করেছেI চীন সরকার এবং বস্তুতঃ চীন সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মিথ্যাভাবে ঘোষণা দেয় যে, মানুষের দেহ থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণের কোনো প্রমান মেলেনিI
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এছাড়াও জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানান, যে তারা যেন চীনকে পরিবেশগত বিপত্তির জন্য দোষী সাব্যস্ত করেI
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প////
প্রতি বছর চীন, লক্ষ লক্ষ টন পাস্টিক ও আবর্জনা সাগরে নিক্ষেপ করছে, অন্যান্য দেশের জলসীমায় মৎস আহরণের দস্যুতা এবং বিশাল প্রবল প্রাচীরের ধ্বংসসাধনে নিয়োজিত থেকেছে এবং বিশ্বের যে কোনো দেশের চাইতে, বায়ুমণ্ডলে বেশি মাত্রায় মার্কারি নির্গমনে সহায়তা করছেI চীনের কার্বন নির্গমন যুক্তরাষ্ট্রের চাইতে প্রায় দ্বিগুন পরিমানের এবং যা দ্রুত বেড়ে চলেছেI
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘকে কার্যকর একটি সংস্থা হতে. তাঁর কথায়, বিশ্বের প্রকৃত সমস্যাদির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবেI যেসব সমস্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সন্ত্রাসবাদ, মহিলাদের ওপর নির্যাতন , জোর-পূর্বক শ্রম, ঔষধ ও মনুষ্য পাচার, ধর্মীয় নির্যাতন এবং জাতিগোষ্ঠী ধর্মীয় সংখ্যালঘু লোকজনদের নিশ্চিহ্ন করাI